বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বলেন, আজ এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন আসায় আদালতে জামিন শুনানি হয়। জামিন শুনানির সময়, আদালতকে বলা হয় এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন, যা যাচাই-বাছাই চলছে তাই এ মুহূর্তে জামিন নাকচ করা হোক।
এর আগে গত বুধবার আদালতে কোরাইয়াকে হাজির করে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক।
আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও শুভ্র সিনহা রায় শুনানিতে বলেন, এ মামলায় মূল রহস্য কী ছিল এবং দুর্ঘটনার সময় ব্যবহৃত গাড়ি উদ্ধারে রিমান্ডে নিয়ে আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাবাদের জন্য রিমান্ডে প্রয়োজন।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন ও রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
গত মঙ্গলবার বিকেলে কল্যাণের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় মামলা করেন প্রথম আলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক মেজর (অব.) সাজ্জাদুল কবীর। মামলা নম্বর ৬। এজাহারে দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩৩৮-এর ক ও ৪২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির উল্টো দিকের রাস্তায় একটি প্রাইভেটকার মোটরসাইকেল আরোহী জিয়া ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে জিয়া মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান। সেখানে উপস্থিত অন্য গণমাধ্যমের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। পরে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে জিয়া ইসলামের চিকিৎসার ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। পরে চিকিৎসকরা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল অ্যাপোলো কিংবা বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দুপুরে জিয়াকে অ্যাপোলোতে ভর্তি করা হয়।