স্টাফ রিপোর্টার: জেলার দৌলতপুর উপজেলায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লাইলী খাতুনকে হত্যার দায়ে রোকন মন্ডলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
সরকারি পিপি এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী মামলার বিবরণে জানান, ২০১১ সালের ২৬ আগস্ট দৌলতপুর উপজেলার কামাল পুরের নাজিরপুর গ্রামের হুলি মন্ডলের ছেলে ভ্যানচালক রোকন মন্ডল জুয়া খেলে টাকা হেরে বাড়িতে ফিরে অন্তঃসত্বা স্ত্রী লাইলী খাতুনের সাথে বাকবিতণ্ডতায় জড়িয়ে পড়েন।
তিনি জানান, রাত ৯টার পরে রোকন স্ত্রী লাইলী খাতুনকে বাড়ির পাশে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ড্রেনে ফেলে দেন। দুই দিন পরে ওই ড্রেন থেকে লাইলীর গলিত লাশ উদ্ধার হয়। নিহতের বাবা লাল চাঁদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় পুলিশ রোকনকে গ্রেফতার করে। পরে আদালত ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দীতে রোকন স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেন।
৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এই রায় দেয় আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারী কৌসুলী (অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর) এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম গালীব।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ‘এই ন্যায় বিচারের মাধ্যমেই প্রমাণ হয় দেশে সুষ্ঠুভাবেই বিচার কার্য পরিচালিত হচ্ছে।’