বিশেষ প্রতিনিধি- আগামী পাঁচ নভেম্বর থেকে কুয়াকাটায় শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী গঙ্গাস্নান ও রাস পুর্ণিমা মেলা। রাসমেলা ও গঙ্গাস্নানকে সামনে রেখে কুয়াকাটায় লাখ লাখ পর্যটক ও পূণ্যার্থীদের বরন করে নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রতিমা তৈরীসহ দর্শনীয় স্পটকে সাজানো হচ্ছে জমকালোভাবে। সার্বজনীন এই মেলা সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ইতমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেলা উদযাপন কমিটি। প্রচুর পূণ্যার্থী ও পর্যটকদের আগমনকে সামনে রেখে আবাসিক ও খাবার হোটেলসহ পর্যটক নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দনভাবে। প্রচুর লোক সমাগমকে মাথায় রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ধর্মীয় গান, বাউল গান , লোক সংগীতের আসরসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কথা জানিয়েছে।
এদিকে মেলাকে কেন্দ্র করেছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কুয়াকাটায় আসতে শুরু করেছে ভাসমান ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, তিন দিনব্যাপী এ রাসমেলা ও গঙ্গাস্নান উৎসবকে আরো প্রানবন্ত করে তুলতে জেলা প্রশাসন ঘুড়ি উড়ানো, খেলাধুলাসহ নানা আয়োজন করছে। অন্যদিকে রাখাইনরা তাদের ঐতিহ্যবাহী ফানুস উৎসবের আয়োজন করেছে। কুয়াকাটা রাসমেলা কমিটির সভাপতি বিপুল হাওলাদার জানান, রাসমেলায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটতে পারে। তাদের সেবার জন্য ইতমধ্যেই আমাদের প্রস্তুতি অনেকখানি এগিয়েছে। চার নভেম্বরের মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
বহুবছর ধরে চলে আসা হিন্দু দর্মাবলম্বিদের রাস মেরা গঙ্গাস্নান হয়ে আসলেও এখন এই মেলা সার্বজনীনে রুপ নিয়েছে। সকল ধর্ম ও বর্ণের লোক অংশগ্রহন করেন এই মেলায়। মেলায় নিশ্চিত অংশ নিতে ইতমধ্যে বেশীরভাগ আবাসিক হোটেলগুলো অগ্রিম বুকিং হয়ে আছে।
মেলার প্রস্তুতির বিষয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট সেন্টার ম্যানেজার আবুল হোসেন রাজু বলেন ,‘আমরা রাস মেলায় আগত দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের তথ্য দেয়ার জন্য কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট সেন্টারের উদ্যোগে একটি তথ্য কেন্দ্র চালু করব।’ মেলায় আগত পর্যটকদের সেবা দিতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ ট্যুরিষ্ট গাইড, ট্যুরিজম কোম্পানীগুলো ইতমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, রাসমেলা আসলে হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব হলেও এটি এখন সার্বজনীন মেলায় পরিনত হয়েছে। আমরা হোটেল মোটেলে পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। মেলায় আগত পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয় কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান,মেলায় অনেক লোক সমাগম হবে। আমরা মেলায় আগত পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতমধ্যে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি।