জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) পদে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে ২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
যদিও পরে সেই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল তাকে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়েছিল। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের পর বিষয়টি নতুন করে সামনে।
এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়টি সামনে আসায় মূলত অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগ স্থগিত করা হতে পারে।
অধ্যাপক মিজানুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধ্যাপক মিজানুর রহমান নিটারের অধ্যক্ষ ও পরে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে ৩৭ জন শিক্ষক লিখিতিভাবে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। এর মধ্যে যৌন হয়রানির শিকার দুজন নারী সহকর্মীও তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এস/ভি নিউজ