অগ্রসর রিপোর্ট : সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একজন কর্মকর্তা ও আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাঠানো এক খুদেবার্তায় জানানো হয়, ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং এসবির এক কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। তার সফরসঙ্গী ছিলেন তার শ্যালক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান। বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং ইমিগ্রেশনে যাচাই-বাছাই শেষে বিদেশগমনের অনুমতি পান।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ এবং ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেন। তার দায়িত্ব শেষে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবন ছাড়ার পর থেকে তিনি রাজধানীর নিকুঞ্জে বসবাস করছিলেন।
এদিকে জানা গেছে, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি দায়ের হওয়া মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ওবায়দুল কাদেরের নামও উল্লেখ রয়েছে।