অগ্রসর রিপোর্ট : সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে সরকার ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে এবং আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিবৃতিতে সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের বিষয়টি সরকার বিবেচনায় নিচ্ছে। জনদাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে ইতোমধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার উদ্যোগ নিচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের বিষয়টি নিয়ে জনমনে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা সরকার লক্ষ্য করেছে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র ও জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তার আসামি হওয়ায় এই ঘটনা নিয়ে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।