
না, স্বপ্ন নয়। পদ্মায় নতুন চিত্রায়নের এই গল্পটা সত্য। পদ্মা সেতুর সামগ্রিক কাজের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো হতে চলেছে ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’। দ্রুতগতিতে চলছে কাজ। লক্ষ্য, ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মার উপর দিয়ে গাড়ি চালানো।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ আবদুল কাদের দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘এই প্রকল্পকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে আশা করি। গড়ে ২৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ পরিকল্পনা মতো এগুবে বলেই আশা করছি।’
সবচেয়ে বড় অবকাঠামো
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো হতে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
২০০৭ সালে অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এরপর আরও দুই দফা সংশোধন হয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন আছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ
গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটিকে ঘিরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। পদত্যাগ করতে হয়েছে গত সরকারের একজন মন্ত্রীকেও। বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের টানাপোড়েনে এক পর্যায়ে এই প্রকল্প থেকে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি তুলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এরপর সরকার প্রকল্পটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে। বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পদ্মা সেতুর চ্যালেঞ্জ জয়ের প্রতিজ্ঞা করেছেন। সেই সঙ্গে বিশ্ববাসীর সামনে সক্ষমতা প্রদর্শন করতে এই কাজে বড় ধরনের সাফল্য চায় বাংলাদেশ।
পদ্মা সেতুতে সড়ক এবং রেল পথের ব্যবস্থা থাকলেও প্রাথমিকভাবে সড়ক পথ চালু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে রেলপথ চালু করা হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।
পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোর উদ্বোধন করতে শনিবার সকালে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।