জার্মানির মিউনিখ শহরে একটি শপিং সেন্টারে হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন অনেকে। নিহতদের মধ্যে হামলাকারীও রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সে ১৮ বছর বয়সী একজন ইরানি তরুণ, যে শহরটিতে গত কয়েকবছর ধরে বসবাস করে আসছিল।
পুলিশের একজন মুখপাত্র বলছেন, ওই তরুণ একাই গুলি চালিয়ে আটজনকে হত্যা করেছে, কিন্তু তার সম্পর্কে পুলিশের কাছে আগে কোন তথ্য ছিল না।
তবে হামলার ঘটনার পর সে আত্মহত্যা করেছে, নাকি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। এর আগে ওই হামলাকারী তরুণ আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছিল। কিন্তু এখনও বিষয়টি, নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ।
এ ঘটনায় কিন্তু অন্তত কুড়ি জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই গোলাগুলির ঘটনা শুরুর পর প্রথমে পুলিশ ধারণা করেছিল যে একাধিক হামলাকারী রয়েছে। তাই তাদের সন্ধানে বড় ধরণের অভিযানও শুরু করা হয়, যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
তবে হামলাকারী একজন বলে নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তাদের অভিযান বন্ধ করে। এরপর থেকে মিউনিখের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করে, যান চলাচলও শুরু হয়েছে।
এই ঘটনাটি শুরু হয়েছিল জার্মানির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে। মিউনিখের অলিম্পিয়া শপিং সেন্টার নামের একটি বিপণি বিতানে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়।
এটিকে একটি সন্ত্রাসী হামলা হিসাবেই ধরে নিয়ে পুলিশ শহরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে, শহরের সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি সামলাতে প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া থেকেও পুলিশ আনা হয় এবং হামলাকারীদের সন্ধানে বড় ধরণের অভিযান শুরু করে। হামলার পর শহরের যান চলাচল বন্ধ করে দিলে বহু মানুষ আটকা পড়ে।
পরে ওই বিপণি বিতান থেকে আটজনের মৃতদেহ, আর প্রায় এক কিলোমিটার দূরের আরেকটি জায়গা থেকে আরেকজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই শেষের জনই হামলাকারী বলে পুলিশ বলছে, যিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রথমে পুলিশ ধারণা করে।
এ ঘটনার পরেই জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল আজ দেশটির নিরাপত্তা কাউন্সিলের একটি বৈঠক ডেকেছেন। তার চীফ অফ স্টাফ পিটার আল্টমাইয়ের বলেছেন, এই হামলার জন্য কারা দায়ী, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়, তবে এটি উগ্রপন্থীদের কাজ হতে পারে।
জার্মান পুলিশ বলছে, এর সঙ্গে ইসলামপন্থী কোন গ্রুপের কোন যোগসূত্র পায়নি।
এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন। জার্মানির যেকোনো সহায়তায় পাশে থাকাও অঙ্গীকার করেছেন এসব দেশের রাষ্ট্র নেতারা। সূত্র:বিবিসি