সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি- সুন্দরগঞ্জে কৃষিতে ব্যাপক সাফল্য। এক জমিতে এক সাথে তিন ফসলের চাষাবাদ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতগিরি গ্রামের শুকুনহাটির চর গ্রামের কৃষকরা। দীর্ঘদিন থেকে সাতগিরি গ্রামের কৃষক আব্দুুস ছামাদ মিয়া এক জমিতে এক সাথে তিন ফসলের চাষাবাদ করে আসছেন। এতে করে সে কাঙ্খিত ফলন পেয়েছেন। যার ফলশ্র“তিতে ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষক দীর্ঘদিন থেকে এক জমিতে একাধিক ফসলের চাষাবাদ করে আসছেন।
কথা হয় কৃষক ছামাদ মিয়ার সাথে। তিনি জানান-আমি বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলায় দেখে এসেছি এক জমিতে তিন ফসলের চাষাবাদ। সেই থেকে আমি এক জমিতে তিন ফসলের চাষাবাদ শুরু করি। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে আমি এক সাথে এক জমিতে আলু, ভুট্টা ও তিল চাষাবাদ করে আসছি। এতে করে আমি দেখেছি ফলনের কমতি আসেনি। এক বিঘা জমিতে সাধারণতভাবে শুধুমাত্র আলু চাষ করলে যে ফলন পাওয়া যায়। এক সাথে সেই জমিতে একাধিক ফসলের চাষাবাদ করেও সেই ফলন পাওয়া গেছে। তবে একাধিক ফসল চাষাবাদের বেলায় সার, কীটনাশক ও দিনমজুর বেশি লেগেছে। আলু উঠানোর পর তিল এবং সব শেষে ভুট্টা উঠানো হয়। বিশেষ করে লক্ষ্য রাখতে হবে আলু উঠানোর সময় যাতে করে অন্য ফসলের ক্ষতি না হয়। আধুনিক বিশ্বায়নের এই যুগে অল্প জমিতে অধিক ফলনের প্রত্যয় নিয়ে কৃষককুল যে ভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন তাতে করে ফসলের সংকটের সম্ভাবণা নেই।
এদিকে তিস্তার চরাঞ্চলের কৃষকরাও দীর্ঘদিন থেকে এক জমিতে দুই ফসলের চাষাবাদ করে আসছিল। লক্ষ্য করা গেছে, বার মাসে একটি জমিতে ৪ বার বিভিন্ন প্রজাতির ফসলের চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সত্যন কুমার জানান-বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের কৃষকরাও এখন আধুনিক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসলের চাষাবাদ করছেন। আমি আশা করছি উপজেলার চরাঞ্চলে অধিক পলি জমে থাকার কারণে প্রয়োজনের তুলনায় বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করলেও মাটির উর্বরতা হ্রাস পাবে না।