শস্যভান্ডার খ্যাত বগুড়ার কাহালু উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলু ও সরিষার বাম্পর ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলিতে আলু ও সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলায় আলু ও সরিষার আবাদও বৃদ্ধি পয়েছে। এখানকার মাটি আলু ও সরিষা চাষের উপযোগী হওয়ায় কৃষকরা এই আবাদে ঝুঁকেছেন।
উপজেলায় ৪টি হিমাগার গড়ে উঠেছে। ফলে অল্প সময়ে এবং অল্প পরিবহণ খরচে কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করছে।
স্থানীয় সূত্র মতে গত বছরের অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের আলু বীজ রোপন মৌসুম শুরু হয়। ৬০ থেকে ৭০ দিনে আগাম জাতের এ আলুর ফলন হয় প্রতি বিঘা জমিতে ৪৫ থেকে ৫০ মন। এরপর আমন ধান কেটে আলু উৎপাদন হয় বিঘাপ্রতি ৮০ থেকে ৯০ মণ। বর্তমান উপজেলায় বাজারে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৩শ ৭০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানো হয়েছিল। এর মধ্যে উফসী জাতের আলু চাষ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। আলু উৎপাদন হয়েছে ৯৯ হাজার মেট্রিক টন এবং লাল পাকড়ী জাতের আলু চাষ করা হয়েছে ১ হাজার ৮শ ৭০ হেক্টর জমিতে। আলু উৎপাদন হয়েছে ২৬ হাজার ১শ ৮০ মেট্রিক টন। বাজারে প্রতিমণ আলু পাইকারী বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১১শ টাকা থেকে ১২শ টাকায়। এতে করে বিঘাপ্রতি ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হবে।
এছাড়াও কাহালু উপজেলায় চলতি মৌসুমী ৮ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। বিঘাপ্রতি জমিতে সরিষা উৎপাদন হয়েছে ৫ মণ হতে সাড়ে ৫ মণ। উপজেলায় মোট সরিষা উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৬শ ৯০ মেট্রিক টন।
কাহালু উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, কাহালু উপজেলার মাটি আলু ও সরিষা চাষের জন্য উপযোগী। এ বছর আলু ও সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরাও দাম ভালো পেয়েছে। কাহালুতে আলু ও সরিষা উদ্ধৃত উপজেলা বলা হয়। কৃষি অফিসের পক্ষ হতে প্রথম থেকেই কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।