অগ্রসর, ডেস্ক রিপোর্ট :
চারদিকে এখন উৎসবের আমেজ। কোথাও বেড়াতে গেলে আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন, যারা তাড়াহুড়া করে বেরিয়ে পড়েন আর ভাবেন এখনই বা কী করার আছে? ফিরে এসেই বরং সবকিছু গোছানো যাবে। কিন্তু না, আগে বাসার সবকিছু গুছিয়ে রেখে তবেই বাসার বাইরে পা রাখা উচিত।
তবে দরকার একটুখানি সতর্কতা। ছুটির দিনগুলোতে বাড়ির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখবেন এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সতর্কতার সঙ্গে ঘরের ভেতর ও বাইরে, বারান্দায় রাখা সবকিছু সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখা। ধোয়া কাপড় ইস্তিরি করে ভাজ করে আলমারিতে তুলে রাখুন। আলমারির তাকে ন্যাপথলিন বা পাতলা কাপড়ে মোড়ানো শুকনো ঝুরঝুরে নিমপাতা রাখুন। এতে পোশাক ছত্রাক ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচবে।
সব ধরনের বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে যেতে হবে। সব সুইচ বন্ধ আছে কি না, আবার পরখ করে বের হবেন। কয়েক দিনের জন্য যেহেতু বাসা খালি পড়ে থাকছে, তাই এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামায় ফ্রিজের ক্ষতি হতে পারে। তাই এ সময় ফ্রিজ খালি করে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা উচিত। ঈদের পর বাসায় ফিরলে না হয় আবার নতুন করে চালু করলেন।
চুলা বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে শুধু সামনের নবই নয়, চুলার পেছনের নবও ভালোভাবে বন্ধ করে নিন। দরজা-জানালা সব ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে। দেখা যায়, দরজা বা জানালার সব কপাট বন্ধ থাকলেও কী করে যেন ধুলাবালি ঠিকই ঘরে ঢুকে পড়ে। শুধু দরজা-জানালা বন্ধ করলেই চলবে না, ভেতরের দিকে ব্যবহার করতে পারেন ভারী বা মোটা কাপড়ের পর্দা। আর সবশেষে জোরালো নিরাপত্তার খাতিরে দরজায় ব্যবহার করতে পারেন অতিরিক্ত তালাও।
বাসায় ফিরেই সব বন্ধ দরজা-জানালা খুলে বায়ুপ্রবাহের সুযোগ করে দিন। তাতে কয়েক দিনের বন্ধ থাকা গুমোট পরিবেশটা কেটে যাবে। প্রথম যে সমস্যা হয়, তা হলো বাসায় ফিরে কী খাব? দরজা খুলেই কাটাকুটি করে রান্নাবান্না বেশ কষ্টের ব্যাপার। জরুরি ভিত্তিতে একবেলা বাইরে থেকে আনা খাবার খাওয়া যেতেই পারে। পরিবারের সবাই মিলে ধুলাবালি পরিষ্কার করে সবকিছু আবার আগের মতো গুছিয়ে নিন।
যদি কোনো কারণে গ্যাস পাইপে ছিদ্র হয়ে গ্যাস বের হয়েও থাকে, বাইরের বায়ুপ্রবাহের ফলে আবদ্ধ ঘরের গ্যাস বেরিয়ে যাবে। এতে আর দুর্ঘটনার ভয় থাকবে না। তাই প্রথমে দরজা-জানালা খুলে রাখুন কিছুক্ষণ, তারপর দেশলাই বা চুলা জ্বালুন।
আপনার যত্নে বেঁচে থাকছে অন্দরের গাছপালা, ঈদে গ্রামের বাড়ি গেলে এদের কী উপায় হবে? না পারবেন সঙ্গে নিতে, না পারবেন এদের দেখাশোনায় কেউ একজনকে রেখে যেতে! তাহলে উপায়? এ সময় গাছের গোড়ায় পুরো স্তর করে নারকেলের ছোবড়া বিছিয়ে বেশি করে পানি দিন। এটি বেশি পরিমাণে পানি ধরে রাখতে পারে, ফলে গাছ তার প্রয়োজনমতো পানি শোষণ করে নিতে পারে।
আবার পানি বা কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতলে পানি ভর্তি করে ওপর থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। পানিভর্তি সেই বোতলের নিচের অংশে সরু সুই দিয়ে সূক্ষ্ম ছিদ্র করে দিন। এতে রোগীকে স্যালাইন দেওয়ার মতো করে, প্রতি দুই-তিন সেকেন্ড সময়ে এক ফোঁটা করে পানি পড়বে গাছের গোড়ায়। এমনি করে একটি বোতলের পানি শেষ হতে প্রায় তিন-চার দিন সময় লাগবে, ফলে গাছ সহজে খাদ্যের অভাব বোধ করবে না। আর ফিরে এসে তো পানি দিচ্ছেনই।