ভোলা প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আঘাত হানার খবরে ভোলার উপকূলীয় এলাকার ৪৭৩টি আশ্রয়ণকেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ঘরে ফিরে গেছে।মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরে গেছে।
এদিকে, জেলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরার বিচ্ছিন্ন কলাতলী চরের আশ্রয়ণকেন্দ্রে যাওয়ার পথে মায়ের কোল থেকে পড়ে গিয়ে রাশেদ (১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতরাত ১টার দিকে উপজেলার মনপুরায় বিচ্ছিন্ন কলাতলী চরের আবাসন এলাকা থেকে মনির বাজার কলাতলীর চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়ণকেন্দ্রে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। সে মনপুরা ইউনিয়নের কলাতলী চরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সালাউদ্দিন ও জরিফা খাতুনের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন জানান, সোমবার রাত ১টায় আবাসন বাজার থেকে মনির বাজার কলাতলী চর সরকারি বিদ্যালয় আশ্রয়ণকেন্দ্রে যাওয়ার পথে শিশুটি মায়ের কোল থেকে মাটিতে পড়ে যায়। পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগে তার মৃত্যু হয়।
মনপুরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বে থাকা উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা (পিআইও) খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। মনপুরা ইউপি চেয়ারম্যান আমানত উল্লাহ আলমগীর বলেন, “শিশুটি নিউমনিয়া রোগে ভুগছিল।” ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, “শিশুটি নিউমোনিয়া রোগে মারা গেছে। এর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ছাড়া বড় ধরনের কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোলায় ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি পড়তে থাকে। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী।
বিআইডব্লিউটিএ ভোলা ট্রাফিক কর্মকর্তা মো. নাছিম মঙ্গলবার দুপুর বলেন, সোমবার দুপুর থেকে ভোলা-ঢাকা, ভোলা-বরিশাল নৌ রুটসহ অভ্যন্তরীণ সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ এখানো বলবৎ রয়েছে। তবে, বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকায় বিআইডাব্লিউটিএ’র এক সভা লঞ্চ চলাচল কথা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবেলায় আমরা সোমবার জেলা ও জেলার সাত উপজেলায় প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি, ফায়ার ব্রিগেড, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ত্রাণ শাখাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।