যশোর প্রতিনিধি : যশোরের বাঘারপাড়া থানার ওসিকে নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হওয়ার পরও ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট দুর্ণীতিবাজ ওসি আব্দুল আলীম আওয়ামী লীগ নেতাদের পূণর্বাসনে প্রকাশ্যে- অপ্রকাশ্যে কাজ করছে।ইতিমধ্যে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও বিনা ভোটে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান বিপুল ফারাজীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এলাকাবাসী জানায়, শেখ সরকারে র পতনের পর সারাদেশের ন্যায় বাঘারপাড়া উপজেলাতেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যায়। তবে এর কিছুদিন পরই তারা থানা পুলিশের সাথে গোপন চুক্তি করে এলাকায় ফিরতে শুরু করে। এমনকি আওয়ামী লীগেন সক্রিয় নেতাকর্মীরা যারা জনপ্রতিনিধির দায়িত্বপালন করেছেন তাদের মধ্য এমন বেশ কয়েকজন নেতা এনজিও ও সামাজিক কর্মকান্ডের ব্যানারে সাংগঠনিক কর্মকান্ড শুরু করেছে। এদের মধ্য যশোর জেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সদ্য অপসারিত বাঘারপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিপুল ফারাজী সামাজিক কর্মকান্ডের ব্যানারে আওয়ামী লীগের দরিদ্র অসচ্ছল কর্মীদের মাঝে সেলাই মেশিন, নগদ টাকা টাকা দিয়ে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সে রায়পুর বাজারে প্রকাশ্যে অনুষ্ঠান করে এসব নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণের ধৃষ্টতা দেখায়। পরে স্থাণীয় ছাত্রজনতার প্রতিরোধে অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়।এদিকে অনুষ্ঠান পন্ড হওয়ার পর বিপুল ফারাজী ওইদিন রাতে রায়পুর বাজারে একটি রাইস মিলে তার বিতরণের জন্য প্রস্তুত থাকা মালামাল পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে ফেলে প্রচার করতে থাকে মালামাল লুট হয়ে গেছে। এরপর বিএনপি নেতাকর্মীদের দোষারোপ করে তার এক কর্মচারীকে দিয়ে বাঘারপাড়া থানায় মামলা দায়ের করে। অভিযোগ রয়েছে বাঘারপাড়া থানার ওসিকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মামলাটি রেকর্ড করতে সক্ষম হয়। এরপর থেকে ওসি আব্দুল আলিম আওয়ামী লীগের পক্ষের ওই মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক শুরু করেছে। ইতিমধ্যে জাকির হোসেন নামে বিএনপির এক কর্মীকে আটক করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এ ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান বলেন, ওসি আব্দুল আলীম বাঘারপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের পূণর্বাসনে দায়িত্ব নিয়েছে। পলাতক নেতাকর্মীরা এলাকায় ফিরে আমার সংগঠিত হচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওসি আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, মামলার আলোকে আসামীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।