অগ্রসর ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথমে বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান ও পরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছেন বাংলাদেশের সৌম্য সরকার। মুস্তাফিজুরের ৪ উইকেট ও সৌম্যর অপরাজিত ৮৭ রানে ত্রিদেশীয় সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে।
ডাবলিনের মালাহিডে টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিং-এ পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুটা ভালো করতে পারেনি আইরিশরা। ইনিংসের নবম বলেই উইকেট হারায় তারা। পল স্ট্রার্লিংকে শূন্য রানে ফেরান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ।
এরপর শুরুর ধাক্কা ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন আরেক ওপেনার এড জয়সে ও অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। কিন্তু এই জুটিকে ৩৭ রানের বেশি করতে দেননি মোসাদ্দেক হোসেন। আগের ওভারে ক্যাচ মিস করলেও আক্রমণে এসেই ২২ রানে পোর্টারফিল্ডকে আউট করেন।
আয়ারল্যান্ডের তৃতীয় উইকেট তুলে নিতেও বেশি দেরি করেনি বাংলাদেশের বোলাররা। এন্ডি ব্যালব্রিনকে ১২ রানে থামিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। ফলে ৬১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড।
এরপর বড় জুটির আভাস দেন উইকেটরক্ষক নিয়াল ও’ব্রায়ান ও জয়সে। অন্যপ্রান্ত দিয়ে সতীর্থদের যাওয়া আসা দেখা জয়সে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। ব্রায়ানও নিজ দক্ষতা দেখাতে থাকেন। ফলে এই জুটি অর্ধশতকের গন্ডি পেরোয়। এতে কিছুটা হলেও চিন্তায় পড়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। কিন্তু মুস্তাফিজুর টাইগার অধিনায়কের চিন্তা দূর করেন।
ব্রায়ানকে ৩০ রানে আউট করেন মুস্তাফিজুর। তবে এই আউটের পেছনে মুখ্য ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। থার্ড ম্যানে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন তিনি।
নিয়াল ও’ব্রায়ানের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন জয়সেও। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা বাঁ-হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম আক্রমণে এসেই নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে জয়সেকে তুলে নেন। ফলে ৩টি চারে গড়ে উঠা ৭৪ বলে ৪৬ রানের ইনিংসটিও থেমে যায় জয়সের।
জয়সের বিদায়ের পর দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে অল্প রানেই গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু সেটি হতে দেননি লোয়ার-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান জর্জ ডকরেল ও ব্যারি ম্যাককার্থি। অষ্টম উইকেটে ৬১ বল মোকাবেলা করে ৩৫ রান যোগ করেন তারা। এতে ১৮১ রান পর্যন্ত যেতে সার্মথ্য হয় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া মাশরাফি ও সানজামুল ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৮২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চমৎকার শুরু করে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান করা তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার এবার করেন ৯৫ রান। এজন্য তারা বল খেলেন ৮৩টি। এসময় তামিম ৬টি চার ও সৌম্য ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
৫৪ বলে ৪৭ রানে তামিম থেমে গেলেও, টি-২০ মেজাজে রান তুলেছেন সৌম্য। তার সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন সাব্বির রহমান। তাই বাংলাদেশের জয়ের পথটা সহজ হয়ে যায়। তবে জয় থেকে ১১ রান দূরে থাকতে সাব্বির ফিরে গেলেও জয় পেতে কষ্ট করতে হয়নি বাংলাদেশকে।
কারণ ১১টি চারে ও ২টি ছক্কায় ৬৮ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন সৌম্য। তার সাথে ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচের সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। আগামী ২৪ মে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।