অগ্রসর রিপোর্ট : দেশের ব্যান্ড সংগীতের পুরোধা, জনপ্রিয় সংগীত সাধক, কিংবদন্তি সংগীতস্রষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা গার্ড অব অনার প্রদান শেষে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সকলেই লাকী আখন্দের মৃতদেহে ফুল ও পুষ্পস্তবক দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আমলা, সংগীতাঙ্গণের সহকর্মীরাসহ শোবিজের নানা মাধ্যমের তারকারা ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন লাকী আখন্দ। এসময় সংস্কৃতমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরও উপস্থিত ছিলেন।
তিন লাকী আখন্দকে নিয়ে বলেন, ‘লাকী আখন্দের বিদায়ে দেশবাসী ব্যথিত। প্রধানমন্ত্রী তার মত সংগীতানুরাগীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। লাকী আখন্দ সৃজনশীল শিল্পী ছিলেন। তিনি সবসময় শেখাতেন কিভাবে গানকে মানুষের মনে জায়গা করে দিতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘যে গানগুলো তিনি সৃষ্টি করেছেন তা আমরা সংরক্ষণ করে রাখবো। একজন শিল্পীর কোনদিন মৃত্যু হয় না। তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।’ মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘লাকী আখন্দের পরিবারকে আমাদের পক্ষ পক্ষ থেকে যতটুকু সাহায্য করা যায় আমরা করবো। দেশের সংগীত প্রিয় মানুষ তাদের শোকের ভাগ নিতে হৃদয় পেতে দিয়েছে। রাষ্ট্রও তাকে সর্বোচ্চ সম্মানে শেষ বিদায়ের চেষ্টা করেছে।’
এছাড়াও লাকী আখন্দকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, মেয়র আনিসুল হক, সংস্কৃতি সচিব ইবরাহিম হোসেন খান, গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগির, গীতিকার কবির বকুল, সংগীতশিল্পী খোরশেদ আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, সাংসদ পংকজ দেবনাথ ছাড়াও সংগীত-রাজনৈতিক অঙ্গণের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত লাকী আখন্দ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) মারা যান। দুপুরের পর এই শিল্পীর শারীরিক অবস্থা গুরুতর খারাপ হলে ওইদিন সন্ধ্যায় আরমানিটোলার বাসা থেকে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকেরা শিল্পীকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানানো শেষে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লাকী আখন্দকে দাফন করা হবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।