টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে পেশোয়ার জালমি। জবাব দিতে নেমে ১৬.৩ ওভারে ৯০ রান তুলতেই অলআউট কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ফলে ৫৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হলো এনামুল হক বিজয়ের দল।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গতকাল রাতের ফাইনালে টস জিতে পেশোয়ারকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান লাহোরের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে পেশোয়ার।
দলটির হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন কামরান আকমল। ওপেনিংয়ে নামা ডেভিড মালান করেন ১৭ রান। এছাড়া মারলন স্যামুয়েলস করেন ১৯ রান। শেষপর্যন্ত ১১ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ড্যারেন স্যামি।
১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ব্যর্থতা সঙ্গী হয় কোয়েটার। দলীয় ১৩ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। দুই ওপেনার ব্যক্তিগত মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ওয়ানডাউনে নামা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় দলের হয়ে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
ক্রিজে থেকে ৯টি বল মোকাবিলা করলেও বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৩টি রান। মোহাম্মদ আসগারের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ওভার বাউন্ডারি মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের পাশে ক্রিজ জর্ডানের হাতে ধরা পড়েন বিজয়। ফলে দলীয় ৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরতে হয় বাংলাদেশি এ ক্রিকেটারকে।
কোয়েটার হয়ে ব্যাট হাতে বাকিরাও কেউ সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি। ফলে জয়ের বন্দরে পৌঁছতে পারেনি কোয়েটাও। দলটির হয়ে সিন আরভিন সর্বোচ্চ ২৪, সরফরাজ আহমেদ ২২ এবং আনোয়ার আলী ২০ রানে আউট হন। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছাড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১৬.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৯০ রানেই থেমে যায় কোয়েটার দৌড়। ফলে ৫৮ রানে জয়ের হাসি হাসে পেশোয়ার।
পেশোয়ারের হয়ে বল হাতে মোহাম্মদ আসগার সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান। দুটি করে উইকেট নেন হাসন আলী ও ওয়াহাব রিয়াজ।