আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলনকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়।
সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মার নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। প্রতিনিধি দলে বিএসএফ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার আইজি, ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ২৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালকরা, বিজিবি সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসাররা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, সার্ভে অব বাংলাদেশ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।
এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা, আহত করা, বাংলাদেশি নাগরিকদের অপহরণ, আটক, অস্ত্র ও গোলা-বারুদ পাচার, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন এবং ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান বন্ধ, অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, আখাউড়া আইসিপির ভারতীয় অংশে ইটিপি (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) স্থাপন, উভয় দেশের সীমান্তে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজে সহায়তা, চোরাচালানি ও অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য বিনিময় এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
সম্মেলন শেষে যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরিত হবে। সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে পারস্পরিক সুসম্পর্ক জোরদার ও সৌহার্দ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ভারতীয় প্রতিনিধি দল দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন এবং আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতিনিধি দল ঢাকা ত্যাগ করবেন।