এসময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদেরকে এখন নিউ স্টেজে যেতে হবে। নিজেদের মধ্য আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করবো। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ ব্যাপারে অভিমত চাওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে জানানো হচ্ছে, চুরির এক বছর পর বাকি অর্থ দ্রুত ফেরত পাওয়ার আশাও ক্ষীণ হয়ে এসেছে। ঝিমিয়ে পড়েছে অর্থ উদ্ধারের তৎপরতাও। এ ঘটনায় সরকার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েও তা প্রকাশ করেনি। ফলে বিশ্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবচেয়ে বড় সাইবার জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত কারও বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চুরির পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে নিউইয়র্ক ফেড থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সরানোর চেষ্টা হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।
অন্যদিকে ৪টি মেসেজের মাধ্যমে ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকে সরিয়ে নেওয়া হয় ৮১ মিলিয়ন ডলার। এর একটি বড় অংশ ফিলিপাইনের জুয়ার টেবিলে চলে যায়। এর মধ্যে ক্যাসিনো মালিক কিম অংয়ের ফেরত দেয়া দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশকে ফেরত দেয়ার আদেশ দেয় ফিলিপাইনের আদালত। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেড় কোটি ডলার ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।