সম্প্রতী আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ প্রাপ্তির ইচ্ছা পোষণ করেছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড। তাদের প্রিমিয়ার জাতীয় প্রতিযোগিতা ৫ দলকে নিয়ে আয়োজিত হয় যেখানে আয়ারল্যান্ডে হয় তিন দলকে নিয়ে। এ ছাড়া আফগানিস্তানে ঘরোয়া ক্রিকেটে দর্শক সংখ্যাও বেশ সমৃদ্ধ যা আইসিসি’র অন্যতম মানদন্ডকে পরিপূর্ণ করে। এর ফলে প্রমানিত হয় তাদের ‘ক্রিকেট সংষ্কৃতি’ প্রতিষ্ঠিত। এর ফলে আফগানিস্তান বোর্ড আশা প্রকাশ করছে তাদের ঘরোয়া প্রতিযোগিতাকে আয়ারল্যান্ড কিংবা তার থেকেও বেশী সমৃদ্ধ হিসেবে মর্যাদা দেয়া হোক।
এ সম্পর্কে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান আতিফ মশাল বলেছেন, ‘আমরা টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির জন্য ইতোমধ্যেই আমাদের প্রস্তাব পেশ করেছি, ফেব্রুয়ারিতে এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হবার কথা রয়েছে। আইসিসি’র সাথে এ ব্যাপারে আমাদের বেশ ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আফগান ক্রিকেটের উন্নতি ও স্থায়িত্ব নিয়ে তারা বেশ খুশী। এ ছাড়া দল গঠন ও দলে প্রতিনিয়ত নতুন খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তিও তাদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। এখন আমাদের দলে অনেক খেলোয়াড় এবং তারা প্রত্যেকেই ভালো খেলছে। আমরা এখন পূর্ণ সদস্য পদের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।’
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফলাফলও এখানে বিবেচ্য। এর আগে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপেই আয়ারল্যান্ড পূর্ণ সদস্য প্রাপ্ত দেশকে হারিয়েছে। আফগানিস্তান গত বছর টি২০ বিশ্বকাপে তা করে দেখিয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের আধিপত্য প্রতিটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজেই প্রমাণিত হয়েছে। উভয় দলই ওয়ানডেতে ১২ দলের বাছাই প্রক্রিয়ার টেবিলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপেও তাদের সাফল্য বেশ ধারাবাহিক। ২০০৯ সালের থেকে এই প্রতিযোগিতায় খেলতে এসে আফগানিস্তান এ পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচে জয়লাভ করেছে, পরাজিত হয়েছে একটিতে, সেটা হলো ২০১৩ সালে ফাইনালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এ ছাড়া ৪টি ম্যাচে ড্র করেছে, এর মধ্যে একটি ছিল ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ে একাদশের বিপক্ষে তাদের প্রথম শ্রেণীর অভিষেক ম্যাচে। ২০১০ সালের ফাইনালে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে তারা প্রথমবারের মত শিরোপা লাভ করে। বর্তমানে টুর্ণামেন্ট টেবিলে তারা আইরিশদের পিছনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
এদিকে আয়ারল্যান্ডও ২০০৫-০৮ সাল পর্যন্ত তিনটি আই-কাপের শিরোপা জিতেছে। ২০১৩ সালে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জেতার পরে টুর্নামেন্টটি তিন বছরের মধ্যে সাতটি গ্রুপ ম্যাচে অনুষ্ঠিত হওয়া শুরু হয়। সব মিলিয়ে ২০০৪ সাল থেকে তারা ২৪টি ম্যাচে জয়ী হয়েছে, ১০টিতে ড্র করেছে এবং পরাজিত হয়েছে মাত্র একটিতে।