একটি অনলাইন মিডিয়া আয়োজিত ‘বিদেশি সিরিয়াল : সংস্কৃতির আপনপর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় সংস্কৃতিকর্মীদের আন্দোলন, বিদেশি সিরিয়াল ও ভারতীয় চ্যানেলগুলোর দৌরাত্ম্যকে সামনে রেখে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মিডিয়া কর্মী, বিজ্ঞাপনদাতাসহ টেলিভিশন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
মামুনুর রশীদ ছাড়াও বক্তৃতা করেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি গাজী রাকায়েত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাহমিদুল হক, দীপ্ত টিভির উরফী আহমদ, গ্রে অ্যাডভার্টাইজ লিমিটেডের গাউসুল আলম শাওন, উদিসা ইসলাম, জুলফিকার রাসেল প্রমুখ।
এই আলোচনার শুরুতেই জানানো হয় ভারতের জি-বাংলা প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১শ’ কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, “টেলিভিশন শিল্প সিনেমার চেয়েও বড়। একটি এক ঘণ্টার নাটকে ২০ মিনিটের বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। বিদেশে থেকে কলকুশলী আনা হয়। আবার বিপুল পরিমাণ অর্থ ডাউনলিংকের মাধ্যমে বিদেশে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও আমাদের মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। ভারতের কিছু চ্যানেলের সিরিয়াল এটি করছে। বিদেশি সিরিয়ালগুলো যে ধরনের সংস্কৃতির ধারক-বাহক তা আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে। ইদানিংকালে দেশে শতকরা ৮০ শতাংশ বিবাহ বিচ্ছেদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ কারণ হলো ভারতীয় সিরিয়াল। ”
বিদেশী টিভি চ্যানেলে অপসংস্কৃতি এবং বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি ও নাট্যব্যক্তিত্ব গাজী রাকায়েত বলেন, “তথ্য মন্ত্রণালয়কে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে মোটামুটি বোঝাতে পারা যায়। কিন্তু একটি সুনির্দিষ্ট সিরিয়াল অনুমোদিত কিনা সেটি কী করে বুঝব। কারণ একটি নির্দিষ্ট কমিটি রয়েছে যারা এই সিরিয়ালগুলোর ছাড়পত্র দেয়। সেই কমিটির ছাড়পত্র রয়েছে কিনা তা যাচাই করা উচিৎ। সে কারণে সম্প্রতি জারি করা তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না ছাড়পত্র দেয়া হয় ততক্ষণ পর্যন্ত বিদেশি সিরিয়াল দেখানো যাবে না। ”