ইতোপূর্বে প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও ওই অবস্থান থেকে সরে এসেছে সরকার। শাহজালাল বিমানবন্দরের বর্তমান প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি রাডার দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ায় বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নিরাপত্তার স্বার্থে পিপিপি’র আওতায় নতুন রাডার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য করিম অ্যাসোসিয়েটস নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল একটি প্রস্তাব পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রস্তাবিত প্রকল্প মূল্য ৫৭৯ কোটি টাকা এবং ১০ বছরে পরিশোধযোগ্য মূল্য ১ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা অনেক বেশি বলে আপত্তি তোলে সংশ্লিষ্ট মূল্যায়ন কমিটি।
এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি বলেন, সে সময়ে মূল্যায়ন কমিটির সার-সংক্ষেপে বলা হয়, প্রকল্পটি পিপিপির আওতায় বাস্তবায়িত হলে আনুমানিক ৭৬ কোটি টাকা বাৎসরিক কিস্তিতে ১০ বছরে মোট ৭৬০ কোটি টাকা পার্টনারকে পরিশোধ করতে হতো।
অন্যদিকে অতিরিক্ত আইটেম ও ভ্যাটসহ প্রকল্পের বর্তমান প্রস্তাবনায় মূল্য ধরা হয়েছে ৫৭৯ কোটি টাকা, যার বিপরীতে পিপিপি পার্টনারকে ১০ বছরে পরিশোধ করতে হবে ১ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা।