মিরাজের স্পিনে মাত্র ৩৯ রানের মধ্যে দুই কিউই ওপেনার সাজঘরে ফেরেন। জিত রাভালকে (১৩) ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে পাঠান তিনি। তার পরের ওভারেই টম ল্যাথামের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নেন এ ডানহাতি স্পিনার। প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রান করা ল্যাথাম ১৬ রানে বোল্ড হন। তবে এ ধাক্কা ভালোভাবে সামাল দিয়েছে কিউইরা। উইলিয়ামসন সেঞ্চুরি ও টেলর ফিফটি করে দলের জয়কে সহজ করেন। ৪৩ বলে ৮ চারে ছোঁয়া পঞ্চাশ রানের ইনিংসকে উইলিয়ামসন ১৫তম শতক বানান ৮৯তম বলে। এর আগে ৬১ বলে হাফসেঞ্চুরি করা টেলরকে ৬০ রানে আউট করে ১৬৩ রানের জুটিটি ভাঙেন শুভাশীষ রায়। ১০৪ রানে অপরাজিত ছিলেন উইলিয়ামসন। অপর প্রান্তে ৪ রানে খেলছিলেন হেনরি নিকলস।
পঞ্চম ও শেষদিন সকালে যতক্ষণ পারা যায় টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ছিল ৩ উইকেটে ৬৬ রান। ১০ রানে অপরাজিত মমিনুল হকের সঙ্গে ব্যাটিং ক্রিজে নামেন সাকিব আল হাসান। প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান হতাশ করেছেন। ৫ বল খেলে রানের খাতা না খুলেই মিচেল স্যান্টনারের বলে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব।
ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি মমিনুলও। নেইল ওয়াগনারের বলে ২৩ রানে কলিন গ্রান্ডহোমের তালুবন্দী হন এ ব্যাটসম্যান। ওই ধাক্কা সামাল দিতে মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান ভালো প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু টিম সাউদির একটি শর্ট বল মাথায় লেগে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। ক্রিজে সময় পার করার ভালো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি ৫৩ বলে ১৩ রান করে।
মুশফিক হাসপাতালে রওনা হলে তাসকিন আহমেদ নামেন। ২৩ বল খেলে ৫ রানে তিনি উইকেট দেন ট্রেন্ট বোল্টকে। প্রথম সেশনে ৭১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে যায় সফরকারীরা।
দ্বিতীয় সেশনে এসে সাব্বির রহমানের টানা হাফসেঞ্চুরি শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আশা জাগায়। কিন্তু টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারালে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯৭ বলে ৯ চারে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি করেন সাব্বির। কিন্তু আর ৪টি বল খেলে ইনিংস সেরা ৫০ রান করে বোল্টের বলে বিজে ওয়াটলিংয়ের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। আগের ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বী ১ রানে সাউদির শিকার হন। এখানেই শেষ হতে পারত ইনিংস। কিন্তু চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও ক্রিজে নামেন ইমরুল কায়েস।
২৮ রানে আগের দিন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া ইমরুল ব্যক্তিগত রানের ঝুলিতে আরো ৮ রান যোগ করেন। ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অপর প্রান্তে শুভাশীষ রায় নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলে ৯ উইকেটেই শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। কারণ মুশফিকের আর নামা হয়নি। ২১৬ রানে লিড নেয় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৮ উইকেটে ৫৯৫ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যায় ৫৩৯ রানে।