আগামীতে এ ধরনের পরিবর্তন আরো আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামি ব্যাংক তো এক নম্বর ব্যাংক। ব্যাংকটি অনেক প্রফিট করে। কিন্তু প্রফিটের টাকা কোথায় যায় সেটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। আর এর বিদেশি অংশীদারদের মধ্যেও পরিবর্তন হয়েছে কয়েক বছরে আগে। এদেরও দাবি ছিল ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার। সবকিছু বিবেচনায় মনে হয় এমডি এবং চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে ফেয়ার চেইঞ্জ।’
নতুন পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আই ক্যান নট সে। আমি এখনো বলতি পারি না। আমি সবাইকে চিনিও না। তবে কিছু সময় পরে আমি ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সঙ্গে বসবো।’
মতবিনিময় সভায় মন্ত্রীর কাছে এমসিসিআই নেতারা বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ এবং সুপারিশসহ ২২ দফা দাবি পেশ করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যবসাবান্ধব অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, গ্যাস-বিদ্যুতের সহজলভ্যতা, ভূমির প্রাপ্যতা সহজীকরণ, নকল কারখানা বন্ধে ব্যবস্থা, কৃষি পণ্য পরিবহনে রেলের ব্যবহার ও নতুন ভ্যাট আইন সম্পর্কে অবহিতকরণ।
এমসিসিআইয়ের সভাপতি নেহাত কবির জানান, ‘নতুন ভ্যাট আইন জুন থেকে কার্কর হবে। কিন্তু আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানি না। রুলসগুলো কি সেটিও জানি না। এটি যদি আমাদের না জানিয়েই কার্যকর করা হয় তাহলে আমরা কমপ্লাই করতে পারবো না। এটা কার্যকর করতে হলে আমাদেরকে ট্রানজিকশন পিরিয়ড দিতে হবে।’
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাতে এখনো ৫/৬ মাস সময় আছে। আশা করছি এর মধ্যে এগুলো সমাধান হয়ে যাবে।’
উল্লেখ, গত ৫ সেপ্টেম্বর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আনোয়ারকে অপসারণ করে নতুন পরিচালক আরাস্তু খানকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদেও আসে নতুন মুখ।
একইদিনে পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুল মান্নান পদত্যাগ করেন। আজিজুল হকের জায়গায় অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলমকে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। অন্যদিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি আবদুল হামিদ মিঞার নাম অনুমোদন করা হয়।