আজ রবিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়।
শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে যোগ দেয় ঢাকার ৩১টি বিদ্যালয়ের ৫ হাজার শিক্ষার্থী। এই উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
সরেজমিন দেখা যায়, সব শিক্ষার্থীর হাতে একটি করে নতুন বই দিয়ে এই আয়োজনকে আরো বর্ণিল করা হয়েছে। উৎসবের এই আমেজে যেন অন্যরকম আবহে রূপ নিয়েছে আজিমপুর গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠ।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে টাকা দিয়ে বই পেতে ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগতো। এখন বিনামূল্যে ১ জানুয়ারিতেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা পাঠ্যপুস্তক পাচ্ছে। এ কর্মসূচি পৃথিবীর অনেক দেশের কাছেই বিষ্ময়।
তিনি বলেন, সরকার শিক্ষা খাতে বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে।
গতকাল শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে ‘জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
সারাদেশের ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ কোমলমতি শিশু-কিশোরের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার নতুন বই। নতুন বইয়ের উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সরকার ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করবে। সারাদেশে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ জন ইবতেদায়ী, দাখিল, দাখিল কারিগরি, এসএসসি ভোকেশনাল, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে এসব বই বিতরণ করা হবে।
ইতোমধ্যে জেলা, উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সব পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে গেছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য ৬০ লাখ ১ হাজার ২৪টি ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্য ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৪টি গাইড বই তৈরি করা হয়েছে।