এর আগে দলের হয়ে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নামেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। তবে দলীয় ৭ম ওভারের তৃতীয় বলে টিম সাউদির বলে উইকেটরক্ষক লুক রঞ্চির কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরন ইমরুল। ২১ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ১৬ রান আসে এ ওপেনারের ব্যাট থেকে। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাজে ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার বিদায় নেন। জিমি নিশামের বলে ব্যক্তিগত এক রানে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দেন তিনি। একই ওভারে নিশামের দ্বিতীয় শিকার হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (০)।
১৮তম ওভারের শেষ বলে নিশামের বলে মিচেল স্ট্যান্টনারকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৫৯ বলে ৫ চারে ৩৮ রান করেন তামিম ইকবাল।
ব্যাটিং পজিশন পাল্টে ৭ নম্বরে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন সাব্বির রহমান। ফার্গুসনের বলে বোল্টকে ক্যাচ দেয়ার আগে এক ছক্কায় সাব্বির করেন ১৬। তবে মোসাদ্দেক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর ২০০ পার করেন মুশফিক। ২ জন দলকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ৩৮তম ওভারে স্যান্টন্যারের বলে কঠিন একটি সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ডাইভ দিয়ে চোট পান মুশফিক। ফিজিওর সেবাশুশ্রূষা নিয়ে একটি বল খেলার পর আর মাঠে থাকতে পারেননি টেস্ট অধিনায়ক। ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৪২।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলপতি কেন উইলিয়ামসন। টম ল্যাথামের ১৩৭ আর কলিন মানরোর ৮৭ রানের সুবাদে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে তোলে ৩৪১। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ১৯৯০ সালে শারজায় দুই দলের প্রথম দেখায় কিউইরা ৪ উইকেটে করেছিল ৩৩৮।
টাইগারদের হয়ে সাকিব ৩টি উইকেট দখল করেন। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট লাভ করেন মোস্তাফিজ ও তাসকিন। উইকেটশূন্য ছিলেন মাশরাফি, সৌম্য ও মোসাদ্দেক।