দলীয় ৮২ রানের মাথায় গেইল আউট হলে রানের চাকা কিছুটা স্থবির হয়ে যায়। চার নম্বরে ব্যাট করতে এসে শোয়েব মালিকের ব্যাট ফের ম্যাচে ফিরলেও সংগ্রহটা বড় করতে পারেনি মালিক। ১২ বলে ১৪ করে ফিরে যান সাজঘরে। একপাশ আগলে রাখা তামিমও শেষমেশ ৫১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অবশেষে ৮ উইকেটে ১৪২ রান সংগ্রহ করে চিটাগং ভাইকিংস।
১৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে শুভাশিস রায়ের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মুমিনুল হক (৪)। আর পরের ওভারের প্রথম বলে আব্দুর রাজ্জাকের বলে শূন্য রানে আউট হন নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। এরপর ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি সাব্বির রহমান। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে শুভাশিস রায়ের বলে মোহাম্মদ নবীর হাতে ধরা পড়ার আগে সাব্বির করেন ১১ রান। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় রাজশাহী।
এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন সামিত প্যাটেল এবং নুরুল হাসান সোহান। তবে, স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ১৪ রান উঠতেই বিদায় নেন প্যাটেল। ইনিংসের দশম ওভারে মোহাম্মদ নবী বোল্ড করে ফেরান ৫ রান করা প্যাটেলকে। দলীয় ৫৩ রানের মাথায় টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে রাজশাহী।
দলীয় ৫৫ রানের মাথায় বিদায় নেন সেট ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। ইনিংসের ১১তম ওভারের প্রথম বলে সাকলাইন সজীবকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দেন শোয়েব মালিকের হাতে। মালিক বাউন্ডারিতে ক্যাচটি লুফে নিলেও শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পেরে সেটি তুলে দেন জহুরুলের হাতে। বিদায় নেওয়ার আগে নুরুল হাসান সোহান ২৮ বলে দুই চার আর একটি ছক্কায় করেন ৩৪ রান। একই ওভারের শেষ বলে সাকলাইন সজীব বোল্ড করেন জেমস ফ্রাঙ্কলিনকে (২)।
এরপর দারুণ জুটি গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং দলপতি ড্যারেন স্যামি। ২০ বলে তারা তুলে নেন ৩৭ রান। ইনিংসের ১৫তম ওভারে রানআউট হন ১০ রান করা মিরাজ। দলীয় ৯৪ রানের মাথায় সপ্তম উইকেট হারায় কিংসরা।
২৭ বলে ৭টি চার আর দুটি ছক্কায় অপরাজিত ৫৫ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ফরহাদ রেজা ১১ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটি থেকে আসে ৪৯ রান। ১৮.৩ ওভার জয় তুলে নেয় রাজশাহী।