এদিকে সচিবালয়ে অনলাইনে সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রীদের স্বচ্ছভাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় করবেন কি না তা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রথমবার বলেছিলাম, কেউ সাড়া দিচ্ছে না। প্রসঙ্গত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ২০১৬-২০১৭ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আগামী ৩০ নভেম্বর শেষ হচ্ছে।
পরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যেবছর তিনি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ২০০৮-০৯ অর্থবছরে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল এক কোটি ১৪ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছর তার এই সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৯৮ লাখ টাকা। তিনি বলেন, এই সম্পদের বড় একটি অংশ বিদেশে থাকতে অর্জন করেছি, যা করযোগ্য নয় (করের আওতায় পড়ে না)। তিনি বলেন, এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোতে একটি নির্দিষ্ট তারিখে আয়কর দিবস পালন করা হয়। যার পরে আর রিটার্ন দাখিল করা যায় না। আমরাও এবার এ ধরনের দিবস চালু করলাম। আশা করি পরবর্তী সরকারগুলোও এটি বজায় রাখবেন।
মন্ত্রী অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সুবিধাদি বণর্না করে বলেন, এতদিন সম্পদ হিসাব করে করদাতাদের করের পরিমাণ বের করার ঝামেলা পোহাতে হতো। এখন আর ঝামেলা থাকবে না। অনলাইনে সম্পদের বিবরণ দিলেই সফটওয়্যার করের হিসাব করে ফেলতে পারবে। এতে করদাতারা হয়রানি ও ঝামেলামুক্ত হবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম কর প্রদানে উৎসাহিত হচ্ছেন। এবারের মেলায় এর প্রমাণ আমরা পেয়েছি। এখন আমরা বিভিন্নভাবে দেশবাসীকে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে পরিচালনা পর্ষদে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া কোন অনিয়ম দেখা দিলে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে অনিয়মের কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপব্যবস্থানা পরিচালকদের বরখাস্ত করার মত ঘটনা ঘটেছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।