সূত্র মতে, দেড়-দুই মাস সময় নিয়ে পাবলিক পরীা গ্রহণ করা হয়। এভাবে শিার্থীদের দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয়। আবার শিা প্রশাসনও বছরের অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকে পরীক্ষা নিয়ে। উন্নত দেশে দশ-বারোটি বিষয়ে পাবলিক পরীা নেওয়া হয় না। সেসব দেশে শুধু গণিত, মাতৃভাষা, ইংরেজি পরীা গ্রহণ করা হয়। বাকি বিষয়গুলো কাসেই মূল্যায়ন করা হয়।
ওই কর্মশালায় শিক্ষাবিদরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১৩টির পরিবর্তে ৯টি বিষয়ে নেওয়া হয়। তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাসে মূল্যায়ন করে বোর্ড পরীক্ষায় নম্বর যোগ করার বিষয় বিবেচনার কথা বলেন। দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষার সূচি না করে, কম সময়ে অথবা দুই বেলা পরীক্ষা গ্রহণ করা যায় কিনা সে বিষয়টিও ভেবে দেখার কথা জানান তারা। এ সবই সুপারিশ বলে জানান তারা। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষার মান উন্নয়নে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় রচনা, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি, পাঠ্যপুস্তক, পাঠদান ইত্যাদিতে সংস্কারের বিষয়ে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে একমত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ বিষয়ে জানান, বিগত কয়েক দফায় দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদদের নিয়ে কর্মশালার সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় আগামীর করণীয় সম্পর্কে আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার মান উন্নয়ন নিয়ে ১২ নভেম্বর জাতীয় শিা ব্যবস্থাপনা একাডেমি নায়েম মিলনায়তনে শিকদের মতামত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। পাঠ্যক্রম, পাঠ্যবই পরিবর্তন করার জন্য বইয়ের লেখক, সম্পাদকদের মতামত নেওয়া হয়েছে ২১ নভেম্বর। তাদের মতামতের আলোকে ২৫-২৬ নভেম্বর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয় এ আবাসিক কর্মশালা।