অনুচ্ছেদ দুটিকে সংবিধানের ৩০ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রিটে রুল চাওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রিট আবেদনে আইনসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারসহ ৪ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদন জমা দেয়ার পর ইউনুছ আলী সাংবাদিকদের বলেন, রবিবার এ আবেদনের ওপর শুনানির চেষ্টা করব।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭২-এর মূল সংবিধানে ১১৬ অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব ছিল সুপ্রিম কোর্টের। কিন্তু ১৯৭৫-এর চতুর্থ সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের পরিবর্তে ওই ক্ষমতা দেয়া হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ ছাড়া সংবিধানের ৯৫(গ) অনুচ্ছেদে আইন তৈরি সাপেক্ষে বিচারপতি নিয়োগের বিধান থাকলেও সংসদে কোনো আইন ছাড়াই দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বিচারপতি নিয়োগ দিচ্ছে, এটাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রিট আবেদনে সংবিধানের এই ধারাও বাতিল চাওয়া হয়েছে।
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বাণী দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ওই বাণীতে তিনি বলেন, দ্বৈত শাসনের ফলে বহু জেলায় বিচারক নিয়োগ করা যাচ্ছে না। বিচারকার্যে বিঘ্ন ঘটছে। যা বিচারকার্যে ধীরগতির অন্যতম কারণ।
একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি তার বাণীতে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের পুনঃপ্রবর্তন চান।
এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পরদিন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান বিচারপতির প্রস্তাব ‘স্ববিরোধী’ এবং ১১৬ অনুচ্ছেদ বদলানোর ‘দরকার নেই’।
এর ব্যাখ্যায় উচ্চ আদালতের বিচারক অপসারণের বিষয়ে ’৭২ সংবিধানের বিধান ফিরিয়ে আনার পর হাইকোর্টের প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি সামনে আনেন আইনমন্ত্রী।
এর প্রেক্ষিতে ইউসুস আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।