তারও আগে, ব্যাট হাতে শেষ মুহূর্তে ঝড়ের পর বল হাতে শুরুতেই ইংল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন মাশরাফি। দলীয় ১২ রানের সময় মাশরাফির দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইংল্যান্ড ওপেনার জেমস ভিন্স (৫)। মাশরাফির পর দ্বিতীয়বারের মতো মিরপুরের গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসের ঢেউ তুলেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডাউনে নামা ইংলিশ ব্যাটসম্যান বেন ডাকেটকে (০) সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাকিব।
নিজের চতুর্থ ওভারে টাইগার ক্রিকেট ভক্তদের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেন মাশরাফি। এই ওভারের পঞ্চম বলে ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান টাইগার অধিনায়ক। ইনিংসের দশম ওভারে আবারও মাশরাফি চমক। নিজের পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে আবারও খুনে চেহারায় মাশরাফি। ইংলিশদের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান বেন স্টোকসকে সরাসরি বোল্ড করে প্যাভলিয়নে পাঠান তিনি। এরপর ক্রিজে ভয়ংকর হয়ে উঠা বাটলার-বেয়ারস্টো জুটি ভাঙ্গেন তাসকিন। তার তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে উইকেট রক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন বেয়ারস্টো। আউট হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। সেই সঙ্গে বাটলারের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটিতে ছেদ পড়ে।
ইনিংসের ২৭ তম ওভারে ইংলিশ তারকা ব্যাটসম্যান মঈন আলীকে ফেরান নাসির হোসেন। এরপর আক্রমনাত্মক হয়ে উঠা জস বাটলারকে ফিরিয়ে ইংলিশদের চাপে ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫৭ রান নিয়ে ক্রিজে থাকা বাটলারকে এলবিডব্লিউ রিভিউ চ্যালেঞ্জে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। ক্রিস ওকসকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করে ইংল্যান্ডকে আরও বেকায়দায় ফেলেন তাসকিন। তাসকিনের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই মুশফিকের হাতে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওকস।