গতবারের চ্যাম্পিয়নদের নাস্তানাবুদ করে সেল্টা৷ গত মরশুমে সেল্টার মাঠে পর্যুদস্ত হয়েছিল বার্সেলোনা। নেইমার, মেসি, সুয়ারেজ সবাই খেললেও ৪-১ গোলে হেরে ফিরতে হয়েছিল। ওই মরশুমে লিগে সেটাই ছিল চ্যাম্পিয়নদের সবচেয়ে বড় হার। এবার মেসিকে ছাড়া চার গোল হজম করে বার্সা৷ প্রথমার্ধে ১১ মিনিটের ব্যবধানে তিনটি গোল করে সেল্টা৷ মেসির বদলে একাদশে জায়গা করে নেওয়া আর্দা তুরানের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে একাদশ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের শট রুখে দেন সেল্টা গোলরক্ষক।এরপর শুরু হয় সেল্টার চমক। ২২তম মিনিটে বার্সেলোনার রক্ষণে বোঝাপড়ার ঘাটতিতে এগিয়ে যায় তারা৷
গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগানের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি সের্হিও বুসকেতস। স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ইয়াগো আসপাস বলের দখল নিয়ে ডি-বক্সে বাড়ান। বাঁ পায়ের প্রথম ছোঁয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কঠিন কোণ থেকে বল জালে পাঠিয়ে দেন ডেনমার্কের উইঙ্গার পিয়োনে সিসতো। দুই মিনিট পরই আসপাসের দূরপাল্লার শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান টের স্টেগেন। আসপাসকে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি। ম্যাচের আয়ু আধ ঘণ্টা পার হতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি এক পাল্টা আক্রমণ থেকে। প্রায় মাঝমাঠে বল পেয়ে জেরার্ড পিকেকে ফাঁকি দিয়ে ডি-বক্স থেকে দুর্দান্ত কোনাকুনি শটে স্টেগেনকে পরাস্ত করেন৷ ৩৩ মিনিটে সেল্টার আক্রমণে আবারও ভেঙে পড়ে বার্সেলোনার রক্ষণ। এবার ডি-বক্সে আসপাসের বাড়ানো বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজের জালেই ঢুকিয়ে দেন ফরাসি ডিফেন্ডার জেরেমি ম্যাথিউ।
২০০৭ সালের পর লা লিগায় এই প্রথম প্রথমার্ধে ৩ গোল খায় বার্সা কোচ লুইস এনরিকে৷ বিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকা বার্সেলোনা ব্যবধান কমায় ৫৮তম মিনিটে। বদলি হিসেবে নামা আন্দ্রে ইনিয়েস্তার ক্রসে হেডে বল জালে জড়ান পিকে। ৬৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ব্যবধান ১ গোলে কমিয়ে আনেন নেইমার। বার্সেলোনার সমতা ফেরানোর চেষ্টার মাঝেই ৭৭তম মিনিটে চরম ভুল করে ফেলেন স্টেগেন। একটি ব্যাকপাস তেমন কোনো চাপ ছাড়াই বিপদমুক্ত করতে গিয়ে শট মারেন এগিয়ে আসা এর্নান্দেসের দিকে! বল তার মাথায় লেগে জালে ঢুকে যায়৷ ৮৭তম মিনিটে ডান পাশ থেকে সুয়ারেজের ক্রসে আবার হেডে গোল করে সমর্থকদের মনে আশা জাগান পিকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি৷ ৪-৩ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে মেসিহীন বার্সা৷