অগ্রসর রিপোর্টঃ খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীতে জঙ্গিদের নির্মূল করার যে পদ্ধতি রয়েছে, বাংলাদেশও সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করছে। আর এটাই উত্তম পদ্ধতি।
তিনি বলেন, কিছু জ্ঞানপাপী জঙ্গিবাদ নির্মুল পদ্ধতির সমালোচনা করছে। আমাদের বুঝতে বাকি নেই, ওরা কারা। ওরা কী চায়। ওরা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর।
কামরুল ইসলাম আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, যারা একাত্তর, পঁচাত্তর দেখেছেন এবং পরবর্তীতে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও শোলাকিয়া হামলা দেখেছেন-তারা এসবের মধ্যে কোনো ভিন্নতা খুঁজে পাবেন না। এতেই বোঝা যায়, এটা একাত্তরের পরাজিত শক্তির কাজ। আর সেটার নেপথ্যে আছে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত বিএনপির নেতৃত্ব প্রদানকারীরা।
বেঁচে থাকলে জিয়াউর রহমানের নাম বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চার্জশিটে থাকতো- এ কথা উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আমি পিপি হিসেবে প্রসিকিউশনে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলাম। তখন সাক্ষ্যে উঠেছে মোশতাক, তাহেরউদ্দিন ও মাহবুব আলম চাষী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে জেনারেল জিয়ার অনুমতি নিয়েছে। বেঁচে থাকলে এ মামলার চার্জশিটে তাদের নাম থাকতো। কিন্তু তারা মরে যাওয়ায় নাম বাদ দিতে হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।