অগ্রসর রিপোর্টঃ আজ ১৩ আগস্ট। আজ আবারও নতুন করে জন্মনিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ক্রিকেট জীবন। আজ থেকে ‘নিষিদ্ধ’ ক্রিকেটার নন।
তিন বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আজ আবারও তিনি মুক্ত, খেলতে পারবেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। আর তাই এই খুশির দিনেই ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরছেন তিনি।
তবে খুশিমনে দেশে ফেরা আশরাফুলের মনে এই মুহূর্তে অনেক প্রশ্নও নিশ্চয়ই ঘুরপাক খাচ্ছে। কেননা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারবেন তিনি ঠিকই, কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ক্রিকেটের আসর তথা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এ তার আদৌ খেলা হবে কিনা এ নিয়ে আছে সংশয়। তাছাড়া আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) দিয়েই তার প্রত্যাবর্তন হবে কিনা, সেটাও এই মুহূর্তে অনিশ্চিত।
দেশের একটি নিউজ চ্যানেল প্রচারিত এক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, আইসিসির কোন এক মুখপাত্র তাদের জানিয়েছেন যে আগামী দুই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে না পারলেও বিসিবির অধীনে আয়োজিত সব ধরণের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন তিনি। সেক্ষেত্রে বিসিএল, ডিপিএল, এনসিএল এমনকি বিপিএলে খেলতেও কোন বাধা রইবে না আশরাফুলের।
তবে এই সংবাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন ওঠার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কেননা মাত্র কয়েকদিন আগেই দেশের অন্যতম প্রভাবশালী দৈনিক কে আশরাফুলের ব্রিটিশ আইনজীবী ইয়াসিন প্যাটেল স্বয়ং জানিয়েছিলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও আগামী দুই বছর জাতীয় দলের হয়ে এবং বিপিএল বা এই ধরণের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট ও বাইরের দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলতে পারবেন না তিনি।
বলটা তাই শেষ পর্যন্ত বিসিবির কোর্টে। তাদেরই দায়িত্ব সংবাদমাধ্যম তথা গোটা দেশের সকলের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে একটি সঠিক ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দেয়া যে প্রকৃতপক্ষে আশরাফুল বিপিএলে খেলতে পারবেন কি পারবে না। কিন্তু দুঃখের কথা, বিসিবি নিজেই এখনো ধোঁয়াশায়।
তাই তারা দ্বারস্থ হয়েছে আইসিসির। রবিবারের মধ্যে আইসিসির তরফ থেকে তারা পরিষ্কারভাবে জানতে পারবে ঠিক কোন কোন ঘরোয়া লিগে খেলার জন্য বিবেচিত হবেন আশরাফুল, এবং বিপিএলও সেই তালিকায় পড়ে কিনা।
সুতরাং ক্রিকেটে ফেরার আনন্দে আশরাফুলের মুখের হাসি যতটা চওড়া হবার কথা, তা হয়ত হবে না। সন্দেহের দোলাচলে থেকে অপেক্ষা করতে হবে আইসিসির সিদ্ধান্তের ওপর।
তবে শুধু আশরাফুল একা নন, তার মত গোটা জাতিই এখন জানতে চায়, তাদের প্রিয় ক্রিকেটার বিপিএলে খেলতে পারবেন কি পারবেন না। আর যাইহোক, অহেতুক ‘কনফিউশনে’ কেই বা থাকতে চায়!