স্টাফ রিপোর্টার: আলুর মড়ক রোগ প্রতিরোধী জাত সম্প্রসারণ ও কৃষক পর্যায়ে মানম্পন্ন বীজ উপাদনের উপর বৃহস্পতিবার রংপুর সদর উপজেলার চন্দপাট ইউনিয়নের বৈকন্ঠপুর গ্রামে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিইট (বারি)’র রংপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাজহারুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুরর অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক স.ম. আশরাফ আলী ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্ন্তজাতিক আলু কেন্দ্রের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো. মনোয়ার হোসেন, রংপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার ড. মো.সাইখুল আরিফিন ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার মো. আবু সায়েম।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদর্শনী কৃষক বাবলু মিয়া আলুর মোড়ক রোগ প্রতিরোধী জাত বারি আলু-৪৬ জাতের বিশেষ গুণাবলীর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে আলু চাষ করেন এবং আলু চাষের সময় শীত-কুয়াশা বৈরি আবহাওয়া এলেই ব্যাপকভাবে আলুর মড়ক রোগ দেখা দেয়। আর এ রোগ থেকে রক্ষার জন্য বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বালাইনাশক কিনে আলুর জমিতে স্প্রে করতে হয় এতে করে অনেক টাকা খরচ হয়।
তিনি আরো বলেন, বারি আলু-৪৬ জাত চাষে মড়ক রোগ প্রতিরোধী হওয়ায় কোন ছত্রাশনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। ফলে বিঘা প্রতি উৎপাদন প্রায় দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ কম হয়েছে।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শুধু খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেই চলবে না রপ্তানিমুখী হতে হবে। বিগত কয়েক বছর থেকে বাংলাদেশ আলু রপ্তানি করছে। গত মাসে ভিয়েতনামে চিনি রপ্তানি শুরু হয়েছে। সঠিক উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আলু আনেক দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য। আমাদের দেশে খাদ্য তালিকায় এটি তৃতীয় স্থানে। আমাদের আলুর ব্যবহার বাড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ নির্মল রেখে ফসল আবাদে বালাইনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে। এ জন্য পরিবেশ বান্ধব নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য তিনি বালাই প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন ও আবাদের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট আলুর মড়ক রোগ রোধে উদ্ভাবিত বারি আলু-৪৬ ও বারি আলু-৫৩ নামে দুটি জাত কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ করছে। এ দুটি জাতে কোন পচন বা মড়ক রোগ হয় না এবং ফলনও বেশ ভাল। আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে উপস্থিত সকলে সরেজমিনে প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেন।
প্রদর্শনী প্লটে মড়ক রোগ প্রতিরোধী বারি আলু-৪৬ জাতের হেক্টর প্রতি ফলন ৩৫ মে. টন পাওয়া যায়। মাঠ দিবসে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মীসহ শতাধিক কৃষক-কৃষাণি উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।