স্টাফ রিপোর্টার: ১০ জানুয়ারি থেকে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অথচ সেখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না! বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এমনটিই নিশ্চিত করেছেন রবিবার। তবে আকরাম খান জানিয়েছেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশে ৮০ থেকে ৯০ জন সেরা ক্রিকেটার খেলবে। যারা জাতীয় দলে ব্যস্ত থাকবে ওরা থাকবে। তবে কোচ যদি ব্যাটসম্যান বা বোলারদের খেলাতে চায় ওই জিনিসটা আমাদের মাথায় আছে। কোচের সাথে আলাপ করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিব ওরা খেলতে পারবে কি না। কারণ তখন জাতীয় দলের ক্যাম্প চলতে থাকবে।’
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রবিবার মিরপুরে বলেছেন, ‘আগামী ১০ জানুয়ারি আমরা বিসিএল শুরু করতে যাচ্ছি। এটা আগের ফরম্যাট অর্থ্যাৎ চারদিনের ম্যাচ হবে। তবে এবার কিছুটা ভিন্নতা আসছে। সিঙ্গেল লিগের পরিবর্তে ডাবল লিগে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে ফাইনাল থাকছে না। সিঙ্গেল থেকে ডাবল লিগ করায় ছয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। ম্যাচ সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক গত আসরের মত ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে বিসিবি।’
বিসিএলের এটি হবে চতুর্থ আসর। অংশ নেবে ৪টি দল। দলগুলো হল- ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন, ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন ও নর্থ জোন। ফ্রাঞ্চাইজি না পাওয়ায় বিসিবির নিজস্ব দল হিসেবে বিসিএলে অংশ নিবে নর্থ জোন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও প্রস্তাবিত জিম্বাবুয়ে সিরিজ থাকায় মিরপুর স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, ফতুল্লা ও কক্সবাজারে ম্যাচ আয়োজন করতে পারছে না বিসিবি। খেলা হবে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম ও বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিযামে।
বিসিএলে স্পোর্টিং উইকেট : এ প্রসঙ্গে আকরাম খান বলেছেন, ‘দ্বিতীয় আসরের চেয়ে কিন্তু তৃতীয় আসরের উইকেট অনেক ভালো ছিল। বগুড়া ও রাজশাহীকে আমরা বলে দেব যেন উইকেট স্পোর্টিং হয়। বোলার-ব্যাটসম্যান সবাই ভাল করবে। অবশ্যই নিষ্প্রাণ উইকেট থাকবে না। প্রতিটি ম্যাচের মাঝে ৩ দিন করে বিশ্রাম থাকবে। বিসিএল চলবে ৪৯ দিন।’