বগুড়ার প্রয়াত সাংস্কৃতিক কর্মী হাসিবুল হাসান মুন স্বরণে অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গত রোববার ইফতারপূর্বে বগুড়া শহরের মালতীনগর, সাতমাথা, খোকন পার্ক, জেলা স্কুল মোড়, স্টেশন রোডসহ কয়েকটি স্থানে অসহায়দের মাঝে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। হাসিবুল হাসান মুন’র সতীর্থবৃন্দ নামের ব্যানারে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রায় দুইশতাধিক অসহায় মানুষকে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রয়াত হাসিবুল হাসান মুন্#৩৯; ছিলেন বাংলার মুখ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি। মিউজিসিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বগুড়ার সভাপতি।
তরুণ এই সাংস্কৃতিক কর্মী ছিলেন একজন হাস্যজ্বল মুখ, মেধাবী, দক্ষ, অভিজ্ঞ, সুচিন্তিত, সফল সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়া ওঠা মুন ছিলেন সাহসী একজন সাংস্কৃতিক কর্মী। সে অসহায় সাংস্কৃতিক কর্মী বা বিপদে পড়া সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সবসময়। তিনি জীবীতকালে বগুড়া শহীদ মিনার বাস্তবায়ন, রেডিও স্টেশন চালু, সাংস্কৃতিক কর্মীদের জন্য ভাতা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, মাসিক কল্যাণভাতা চালু করার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন। জীবনের বেশিরভাগ সময় পার করেছেন মিউজিক নিয়ে, একজন ভাল সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে ও রয়েছে বেশ কদর।
তিনি যেমনটা কী-বোর্ড বাজাতেন, তেমনি মাধুর্য দিয়ে গানের সুর করা থেকে কম্পোজিশন, ভিজ্যুয়ালী পরিচালনা পর্যন্ত করতেন অনায়াসে। সেখানেই শেষ নয়, একই সাথে সঙ্গীত চর্চা, শুদ্ধ উচারণে নিপুণ কৌশল, একই হাতে বাজতো ভিন্ন ভিন্ন তাল যন্ত্র। কখনো হারমনি, কখনো গিটার, কখনো অক্টো প্যাড, তবলা, কী-বোর্ড সহ নানা বাদ্যযন্ত্র। একজন সংগঠক হিসাবে তার দক্ষতা ছিলো পরিপূর্ণতায় ভরপুর। বগুড়া জেলায় তার নেতৃত্বে প্রায় কয়েক হাজার সাংস্কৃতিক কর্মী পরিচালিত হতো। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংগঠন ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ কর্মী পর্যন্ত বিভিন্নভাবে পরামর্শ, সহযোগিতা নিয়ে সফলভাবে পরিচালিত হতো।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে হাসিবুল হাসান মুন পরপারে পাড়ি জমান। তার মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গন শোকাহত হয়ে পড়ে।