সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষায় অংশ নেবেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ পরীক্ষার্থী।
ঢাকা বিভাগের ১৩ ও চট্টগ্রামের ১১ জেলার ৪১৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই রঙিন প্রিন্ট করা প্রবেশপত্র নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে।
এদিকে, শেষ ধাপে ঢাকা বিভাগের যে জেলাগুলোতে পরীক্ষা হবে, সেগুলো হলো—গাজীপুর, ঢাকা, নরসিংদী, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর।
চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলো হলো—কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, বান্দরবান।
২০২৩ সালের ১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদন করেন দুই বিভাগের তিন লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন চাকরিপ্রার্থী।
কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ তালাবদ্ধ করে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা আগে অর্থাৎ, সাড়ে ৮টার মধ্যে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সতর্কীকরণ ঘণ্টা বাজিয়ে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে তালাবদ্ধ করা হবে। এরপর কোনো প্রার্থীকে প্রবেশ বা বের হতে দেওয়া হবে না। দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া আর কাউকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বা বের হতেও দেওয়া হবে না।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো পরীক্ষার্থী এসব দ্রব্য সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিক তাকে বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরীক্ষার কক্ষে নিজ আসনে কান খোলা রেখে বসতে হবে প্রার্থীদের। কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তা নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের ফটকে প্রার্থীদের দেহ তল্লাশি করা হবে। নারী প্রার্থীদের নারী পুলিশ ও পুরুষ প্রার্থীদের পুরুষ পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। প্রার্থীর কাছে কোনো ডিভাইস আছে কি না, তা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শনাক্ত করা হবে।