অগ্রসর রিপোর্ট : চলতি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক হারের তিক্ত স্বাদ পাওয়া পাকিস্তান আজ নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭০ রানেই অল-আউট হয়েছে। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ২৭১ রান।
শুক্রবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। মাত্র ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। এর কিছু পরই ইমামুল হক আউট হয়ে গেলে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান দলের হাল ধরেন।
রিজওয়ান ৩১ রানে ফিরে গেলেও বাবর আজম তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। তবে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকা পাকিস্তান হঠাৎ করে ১৪১ রানেই হারায় ৫ উইকেট। এরপরেই দলের হাল ধরেন সৌদ শাকিল ও শাদাব খান। এই জুটির ৮৪ রানে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। শাদাব খান ৪৩ রানে ফিরে গেলেও সৌদ শাকিল তুলে নেন অর্ধশতক। তবে এই জুটির বিদায়ের আর বেশিরান করতে পারেনি পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ৪৬ ওভার ৪ বল খেলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ মাত্র ২০ রানেই ওপেনিং জুটি ভাঙে পাকিস্তানের। মার্কো জানসেনের বলে লুঙ্গি এনগিডির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান আব্দুল্লাহ শফিক। আউট হওয়ার আগে করেন ১৭ বলে ৯ রান। তার বিদায়ে ২০ রানেই ভাঙে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি।
শফিকের বিদায়ের বেশি সময় সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার ইমাম উল হক। দলীয় ৩৮ রানে মার্কো জানসেনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। ১৮ বলে ১২ রান করে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৩৮ রানেই ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
৩৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই জুটি দলকে কিন্তু বিপর্যয়ের হাতে থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দলীয় ৮৬ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি।
২৭ বলে ৩১ রান করা রিজওয়ান জেরাল্ড কোয়েটজির শিকার হয়ে ফিরে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৮ রানের জুটি।
রিজওয়ানের বিদায়ের পর ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বাবর আজম। এই জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছিলো পাকিস্তান। কিস্তু দলীয় ১২৯ রানে ইফতিখার আহমেদের বিদায়ে ভেঙে যায় জুটি।
৩১ বলে ২১ রান করা ইফতিখার তাবরাইজ শামসির শিকার হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। ইফতিখার ফিরে গেলেও অধিনায়ক বাবর আজম প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক।
আজ তিনি ৬৪ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। যার মধ্যে রয়েছে ৪ টি চারও ১ টি ছয়ের মার। তবে অর্ধশতক তুলে নিলেও নিজের ইনিংসে আর বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি তিনি।
দলীয় ১৪১ রানে তাবরাইজ শামসির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৬৫ বলে ৫০ রান। তার বিদায়ে ১৪১ রানেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
১৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড় পাকিস্তান দলের হাল ধরেন সৌদ শাকিল ও শাদাব খান। এই দুই ব্যাটারের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। এই জুটি থেকে আসে ৮৪ রান।
দলীয় ২২৬ রানে শাদাব খানের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। হাফ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা শাদাব ৩৬ বলে ৪৩ রান করে জেরাল্ড কোয়েটজির বলে শর্ট মিড উইকেটে কেশভ মহারাজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
শাদাব খান ফিরে গেলেও ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন সৌদ শাকিল। ৫০ বলে ৫০ রান করেন তিনি। তবে অর্ধশতক তুলে নিয়ে শাদাব খানের পথ ধরে তিনিও ফিরে যান সাজঘরে। ৫২ বলে ৫২ রান করে তাবরাইজ শামসির তৃতীয় শিকার হয়ে পিরে যান তিনি।
সৌদ শাকিলের বিদায়ের পর জুটি গড়েন মোহাম্মদ নেওয়াজ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। তবে এই জুটিও বেশিদূর এগোতে পারেনি। দলীয় ২৫৯ রানে শাহিন শাহ আফ্রিদির বিদায়ের পর ভেঙে যায় এই জুটি। শেষ পর্যন্ত ৪৬ ওভার খেলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তাবরাইজ শামসি ৪ টি, মার্কো জানসেন ৩ টি, জেরাল্ড কোয়েটজি ২টি ও লুঙ্গি এনগিডি একটি উইকেট নেন।