অগ্রসর রিপোর্ট : দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। এবার কমানো হবে বাসভাড়াও। ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ এ তথ্য তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। এখন তেলের দাম লিটারে কমেছে পাঁচ টাকা। তাই বাসভাড়াও কমাতে পরিবহন মালিকদের আপত্তি নেই। এ নিয়ে শিগগির বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসবো।
সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সন্ধ্যায় সবধরনের জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসের ঘোষণা দেয়া হয়। সেসময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তেল আমদানিতে শুল্কে ছাড় দেয়া হয়েছে। তাই জ্বালানি পণ্যগুলোর দাম সমন্বয় করা হল।
ফলে এখন ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেল ১০৯ টাকা, কেরোসিন ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা পড়বে। রাত ১টা থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট রাতে হঠাৎ সবধরনের জ্বালানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে সরকার। প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রলের মূল্য ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে লিটারপ্রতি ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা ছিল। এতে এক লাফে ডিজেলের ৩৪ টাকা, কেরোসিন ১৪ টাকা, অকটেনে ৪৬ এবং পেট্রলের ৪৪ টাকা মূল্যবৃদ্ধি পায়। তাতে পরিবহন, কৃষি ও শিল্পসহ সব সেক্টরে খরচ বাড়ে। জনজীবনে যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার।