অগ্রসর রিপোর্ট : রেনেকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফুটবলের শিরোপা জয় করেছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই। এই শিরোপা জয়ে ঘরোয়া লিগের নতুন মৌসুমের শুরুতে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা।
চায়নার শেনজেন ইউনিভার্সসাইড স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে পিছিয়ে ছিল থমাস টাচেলের পিএসজি। যে কারণে শেষ পর্যন্ত এই জয় টাচেলকে দারুন এক স্বস্তি এনে দিয়েছে। চায়নার দক্ষিনাঞ্চলীয় শহর শেনজেনের আদ্রতাপূর্ণ কন্ডিশনে খেলতে কিছুটা হলেও দুই দলেরই সমস্যা হয়েছে। টাচেলও ম্যাচ শেষে সেই বিষয়টি সামনে নিয়ে এসে বলেন, ‘কঠিন কন্ডিশনে সকলেরই সমস্যা হয়েছে। বেশ কিছু নতুন খেলোয়াড়কে আমরা যাচাই করার চেষ্টা করেছি। তারা ভাল খেলেছে। এই জয় আমাদের জন্য অনেক বড় একটি পুরস্কার। অন্তত ১০টি শট আজ আমাদের লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়েছে। নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে এটা আমাদের জন্য দারুন একটি শুরু।’
এপ্রিলে এই ক্লাবের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ কাপে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়েছিল পিএসজি। সে কারনে কালকের জয়কে অনেক মধুর প্রতিশোধ হিসেবেও দেখছে। এই নিয়ে গত সাত বছরে ষষ্ঠ বারের লিগ শিরোপা জয় করা পিএসজি এবারও যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে লক্ষ্য করেই মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে তাতে কোন গোপনীয়তা রাখেনি। এখনো সেই পথ পাড়ি দিতে অনেক সময় বাকি। কিন্তু কাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফ্রেঞ্চ মৌসুম শুরু হবার পর পিএসজির খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের চোখেমুখে ইউরোপীয়ান আসরের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট।
কাল শেনজেনের মাঠে যে ২৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতি ছিল তাদের সকলেরই চোখ ছিল বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রেঞ্চ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের উপর। ৫৭ মিনিটে ২০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের গোলেই পিএসজি সমতায় ফিরে। এর আগে ১৩ মিনিটে আদ্রিয়ান হুনোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রেনে। প্রথমার্ধটা ভাল না কাটলেও শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পে সমর্থকদের আশা পূরণ করতে পেরেছেন। ম্যাচের শুরুটা যদিও পিএসজির দখলেই ছিল। বিশেষ করে আর্জেন্টইন ফরোয়ার্ড এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া দ্বিতীয়ার্ধে নামার পর রেনের রক্ষনভাগকে ব্যস্ত রেখেছিল। ৭৩ মিনিটে অবশেষে রেনের গোলরক্ষক টমাস কুবেককে পরাস্ত করতে সমর্থ হন ডি মারিয়া। আর এই গোলেই পিএসজির জয় নিশ্চিত হয়। ম্যাচ শেষে টাচেল বিশেষ করে ডি মারিয়া, ডিফেন্ডার আবুদু ডিয়ালো ও অধিনায়ক মারকুইনহোসের প্রশংসা করতে ভুল করেননি।
টাচেল বলেন, ‘ডিয়ালো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তার জন্যই অন্য খেলোয়াড়রা এগিয়ে যাবার সুযোগ পায়। বিপদজনক সময়ে ডি মারিয়া মাঠে নেমে দলকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। মারকুইনহোস তার যোগ্যতার আরো একবার প্রমান দিয়েছে। পুরো মাঠ সেই নিয়ন্ত্রন করেছে।’
তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার কারনে কাল মাঠে ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। তার অনুপস্থিতিতে আক্রমনভাগের পুরো দায়িত্বই ছিল এমবাপ্পের ওপর। মৌসুম শুরুর আগেই এমবাপ্পে ঘোষণা দিয়েছিলেন আগের মৌসুমের ৩৩ গোলকে এবার ছাড়িয়ে যেতে চান। সেই লক্ষ্যে মৌসুমের শুরুটাও দারুনভাবে হলো এমবাপ্পের।