অগ্রসর রিপোর্ট : দ্বাদশ বিশ্বকাপে লিগ পর্বে ৯টি করে ম্যাচ খেলবে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। ইতোমধ্যে ৬টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে টাইগারা। এখন বাকী রয়েছে ৩টি ম্যাচ। সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে এই ৩ ম্যাচে জিততে হবে বাংলাদেশকে। বাকী তিন ম্যাচ আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরমধ্যে আগামী ২৪ জুন সাউদাম্পটনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সপ্তম ম্যাচ খেলতে নামবে টাইগাররা। তাই নটিংহাম ছেড়ে এখন সাউদাম্পটনের পথে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় সাউদাম্পটনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে মাশরাফিবাহিনী। নটিংহাম পার্ক প্লাজা হোটেল থেকে বাসে করে সাউদাম্পটন যাচ্ছে বাংলাদেশ। সাউদাম্পটন পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে ৩ঘন্টা লাগবে টাইগারদের।
৬ খেলায় ২টি জয়, ৩টি হার ও ১টি পরিত্যক্ত ম্যাচের কারনে বর্তমানে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য কিছুটা কঠিনই হয়ে গেছে টাইগারদের জন্য। কারন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা প্রথম চার দল সেমিফাইনালে পথে অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়া ১০, নিউজিল্যান্ড ৯, ইংল্যান্ড ৮ ও ভারত ৭ পয়েন্ট সংগ্রহে রেখেছে। তাই সেমিতে খেলতে হলে নিজেদের তিন ম্যাচ তেতা জিততেই হবে, পাশাপাশি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দলের খারাপ ফলাফলের অপেক্ষায় থাকতে হবে। গতরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ হারের পরও আশা ছাড়েননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এখনও মনে করি, কে জানে কত কী হতে পারে! এখনও আমরা পারি, তিন ম্যাচ বাকি আছে। অন্য ম্যাচের ফলের জন্য হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের দারুন ক্রিকেট খেলতে হবে এবং এরপর দেখব। তবে কাজটি কঠিন হবে। তিনটি ম্যাচ যদি জিততে পারি, এরপর দেখা যাবে কী অবস্থা। আমাদের জন্য আপাতত গুরুত্বপূর্ণ হলো বাকি তিনটি ম্যাচ। একটি একটি করে এগোনো এবং জেতা।’
ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে আশা তামিম ইকবালও আশা ছাড়েননি। তিনি বলেছিলেন, ‘এখনও সুযোগ আছে। দলের সবাই একটি কথাই ভাবছে, তিন ম্যাচ জিতলে একটি সুযোগ আসতে পারে। এখনও এই অবস্থাতেই আছি আমরা। কখনও যদি এরকম অবস্থা আসে যে কোনো সুযোগ আর নেই, তখন পঞ্চম স্থানের কথা ভাবব।’
তারপরও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না বাংলাদেশ। আর নিজেদের পরিকল্পনার ছকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছিলো বাংলাদেশের টার্গেট। ওয়ানডে ক্রিকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৭টি ম্যাচ খেলে ৪টিতে জয় ও ৩টিতে হারের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য সর্বশেষ দেখায় জয় আছে বাংলাদেশের। গেল সেপ্টেম্বরে আবু ধাবিতে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আফগানদের ৩ রানে হারিয়েছিলো টাইগাররা।
বিশ্বকাপের মঞ্চে একবার দেখাও হয়েছিলো বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের। ২০১৫ সালে ক্যানবেরাতে পুল ‘এ’র ম্যাচে আফগানিস্তানকে হেসেখেলে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছিলো মাশরাফিবাহিনী।
আফগানিস্তানের ম্যাচের পর বাংলাদেশের পরের দু’টি ম্যাচ ২ ও ৫ জুলাই। প্রতিপক্ষ যথাক্রমে ভারত-পাকিস্তান।