অগ্রসর রিপোর্ট: রাশিয়া বিশ্বকাপে জি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইংলান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। এই জয়ে ৩ খেলায় ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো বেলজিয়াম। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ ইংল্যান্ড। ফলে শেষ ষোলোতে বেলজিয়াম মুখোমুখি হবে জাপানের। শেষ ষোলোতে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া।
আগেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপের জন্য মুখোমুখি হয়েছিলো ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম। তাই ম্যাচটি কম গুরুত্ব হওয়ায় দু’দল ১৭টি পরিবর্তন এনে নিজেদের একাদশ সাজায়। ইংল্যান্ড আগের ম্যাচে খেলা ৮ জনকে বিশ্রাম দেয়। পক্ষান্তরে বেলজিয়ামও আগের ম্যাচের দলে ৯ টি পরিবর্তন আনে।
তারপরও বল দখলের জন্য ম্যাচের শুরু থেকেই দারুন লড়াই করে উভয় দলই। ৬ মিনিটে প্রথম আক্রমনে গিয়েও সুবিধা করতে পারেনি বেলজিয়াম। এরপর ম্যাচের ১০ মিনিটে নিশ্চিত গোল মিস করেন বেলজিয়াম স্ট্রাইকার মিচি বাতসুয়াই। তার শটটি গোলবার থেকে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।
বেলজিয়ামের প্রথম আক্রমনের পর ১২ ও ১৪ মিনিটে দু’বার প্রতিপক্ষের সীমানায় গোলের জন্য হানা দেয় ইংল্যান্ড। কিন্তু আক্রমনভাগের খেলোয়াড়দের ভুলে গোলের স্বাদ নিতে পারেনি ইংলিশরা।
এরপর ইংল্যান্ডকে কোনঠাসা করে ফেলে বেলজিয়াম। নিয়মিত স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু না থাকার পরও ম্যাচের প্রথমার্ধে মোট ১০বার ইংল্যান্ডের সীমানায় আক্রমন করে বেলজিয়াম। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি তারা।
বেলজিয়ামের মত এতগুলো আক্রমন করতে না পারলেও, দক্ষতার সাথে প্রতিপক্ষকে সামলিয়েছে ইংল্যান্ড। ফলে প্রথমার্ধের খেলা গোলশুন্যভাবেই শেষ হয়।
অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের দেখা পেয়ে যায় বেলজিয়াম। ৫১ মিনিটে ডান প্রান্ত বল নিয়ে ইংল্যান্ডের বক্সে ঢুকার চেষ্টা করেন মিডফিল্ডার ইউরি টিয়েলেম্যানস। কিন্তু সামনে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় থাকায় সাহস পাননি তিনি। তবে বুদ্ধি করে ডান দিকে বক্সের কাছাকাছি থাকা ২৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার আদনান ইয়ানুজাইকে বল বাড়িয়ে দেন টিয়েলেম্যানস।
বল পেয়েই বক্সে প্রবেশ করে ইয়ানুজাই যেন চোখ জুড়ানো একটি গোল করার সিদ্বান্ত নিয়ে নেন। তাই সামনে থাকা প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে হালকা ডজ দিয়ে বাঁ-পায়ে কোনাকুনি শটে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে যে গোলটি ইয়ানুজাই করেছেন, সেটি অবশ্যই এবারের বিশ্বকাপে সেরা গোলের তালিকায় দেখা গেলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না। ম্যাচে প্রথম লিড নেয় বেলজিয়াম।
অবশ্য এ গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার মার্কাস রাশফোর্ড। মধ্য মাঠ থেকে বল পেয়ে একক প্রচেষ্টায় বেলজিয়ামের বক্সের ভেতর ঢুকে যান র্যাশফোর্ড। গোলরক্ষক একা পেয়েও বল বাইরে মারেন তিনি। ফলে গোল করতে না পারার হতাশা পেয়ে বসে ইংল্যান্ডকে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারের হতাশাতাতেও পুড়তে হয়েছে ইংলিশদের।
এখন পর্যন্ত ২২বারের দেখায় তৃতীয়বারের মত ইংল্যান্ডকে হারালো বেলজিয়াম।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।