অগ্রসর রিপোর্ট : দি ইউএস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচিকে দেয়া তাদের মর্যাদাপূর্ণ মানবাধিকার এওয়ার্ড প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। মিয়ানমারে জাতিগত রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন বন্ধে তেমন কোন ভূমিকা না নেয়ায় বুধবার তার কাছ থেকে এ এওয়ার্ড প্রত্যাহারের কথা জানায় দি ইউএস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম।
মিয়ানমারে সামরিক একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের কারণে ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান অং সান সুচি। দি ইউএস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম বার্মার জনগণের স্বাধীনতা ও মর্যাদার জন্যে সুচির সাহসী নেতৃত্ব ও ব্যক্তিগত ব্যাপক স্বার্থ ত্যাগের জন্যে তাকে ছয় বছর আগে এলি উইজেল এওয়ার্ড প্রদান করে।
কিন্তু এখন মিউজিয়ামটি বলছে, রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর গণহত্যা চালানোর যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও সুচির নিষ্ক্রিয়তার কারণে তার কাছ থেকে এ এওয়ার্ড প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
সুচিকে লেখা এক চিঠিতে মিউজিয়ামটি আরো বলছে, সামরিক বাহিনী ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করলে আমরা আশা করেছিলাম, আপনি তাদের এই বর্বরোচিত হামলা বন্ধে পদক্ষেপ এবং এর নিন্দা জানাবেন।
কিন্তু দেখা গেল এর পরিবর্তে সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ডেমোক্রেসি জাতিসংঘ তদন্ত দলকেও সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এমনকি দলটি গণহত্যা ও প্রতিবেশী বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক অনুপ্রবেশ নিয়ে রিপোর্ট করতে সাংবাদিকদের বাধা দিয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে নাৎসী বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার এলি উইজেল ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন। তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন এবং ১৯৮৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।