কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭১ রানের টার্গেটে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন মোহাম্মদ শাহজাদ ও সৌম্য সরকার। পুরো টুর্নামেন্টেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে থাকলেন সৌম্য সরকার। এখন পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে। এই ম্যাচে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে আউট হওয়ার আগে করেন ১২ বলে ৫ রান। নাবিল সামাদের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
সপ্তম ওভারে মাশরাফি ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। উইকেটের পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন মিঠুন (২)। পরের ওভারে নাবিল সামাদ ফেরান লিয়াম ডসনকে (৩)। পরের ওভারে আবারো মাশরাফির আঘাত। এবারে ফেরেন আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। ম্যাশের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেন ৪৫ রান। তার ৩১ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার আর দুটি ছক্কা। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ফেরেন রংপুর দলপতি নাঈম ইসলাম (১৪)। রশিদ খানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি দুটি বাউন্ডারির দেখা পান। দলীয় ৯৯ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় রংপুর। এরপর রংপুরের চোখ ছিল আফ্রিদির দিকেই। তবে, ব্যক্তিগত ৩৮ রান করে বিদায় নেন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। তার ১৯ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর দুটি ছক্কার মার। দলীয় ১১৪ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় রংপুর। ১৬তম ওভারে আনোয়ার আলীকে (১) বিদায় করেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এরপর সোহাগ গাজীকে (৭) উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন রশিদ খান। শেষ ওভারে ২৪ রান দরকার ছিল রংপুরের। নাবিল সামাদের বলে দুটি ছক্কা হাঁকালেও ১৫ রানের বেশি করতে পারেনি জিয়া-সানি। দারুণ ব্যাট চালিয়ে ২২ বলে ৩৮ রান করে একটি চার আর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন জিয়াউর রহমান। আরাফাত সানি ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।