এ বিষয়ে সহযোগিতা কৌশলপত্র উদ্বোধন করা হয়েছে। এ কৌশলপত্রের আওতায় ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল মেয়াদে এ সহায়তা দেবে সংস্থাটি। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ৮০ টাকা) অনুযায়ী এর পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৬৪ হাজার কোটি টাকা।
আজ বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ কৌশলপত্রের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। কৌশলপত্র উপস্থাপন করেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী বছরগুলোর জন্য রেলের সক্ষমতা বাড়ানো, নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি, চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন, ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিতরণ, আঞ্চলিক জ্বালানি বাণিজ্য, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থার উন্নয়ন, পানি এবং নগর সেবা বাড়ানো, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা এবং দক্ষতার উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
জানানে হয়, এডিবির ঋণের মধ্যে সহজ শর্তে ৫০০ কোটি ডলার ও কিছুটা কঠিন শর্তে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ রয়েছে।
কাজুহিকো হিগুচি বলেন,বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করেছে এবং মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এডিবির নতুন কৌশলপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের নতুন আয়ের উৎস তৈরি মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পল্লী উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবে এডিবি। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও এ সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জানানো হয়, ১৯৭৩ সালে এডিবির সদস্যপদ লাভ করার পর থেকে এ সংস্থা তাদের আর্থিক সহায়তার একটি বড় অংশ বাংলাদেশকে প্রদান করে আসছে। এ যাবৎ বাংলাদেশকে ১৬ বিলিয়ন ডলারের অধিক ঋণ সহায়তা দিয়েছে।