অগ্রসর রিপোর্ট : ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট আগামীকাল, ২ জুন ২০২৫, উপস্থাপন করা হবে। বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই বাজেট পেশ করবেন। এবার বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাজেট পেশের সময় সংসদে বক্তৃতা না দিয়ে এটি পূর্ব-ধারণকৃত ভাষণ হিসেবে টেলিভিশন এবং রেডিওতে প্রচারিত হবে।
চলতি বছরের বাজেটের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর শর্ত অনুযায়ী কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়ন। মোট বাজেটের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম। অন্যদিকে রাজস্ব খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা বেশি।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হওয়ায় ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির আনুমানিক ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণে সরকার বিদেশি ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রির উপর নির্ভর করবে।
মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি মাসিক ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ভর্তুকির খাতে মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা, যার বেশিরভাগই বিদ্যুৎ ও কৃষি উপখাতে (বিশেষত সারে) ব্যয় হবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে নতুন করে মহার্ঘ ভাতা ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করার প্রস্তাব থাকছে। রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ, প্রায় ২২ শতাংশ, যাবে সুদ পরিশোধে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তন খাতকে এবারের বাজেটে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।