সংবাদ সম্মেলনে দেরির জন্য ক্ষমা চেয়ে কোচ মারুফুল হক বলেছেন, ‘২০ দিন আগে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হবার জন্যই সাফে যাচ্ছি। আজো সেই বিশ্বাস নিয়েই কথা বলছি।’ তিনি যোগ করেছেন, ‘সাফে চ্যাম্পিয়ন হবার লক্ষ্য অর্জন করতে আমরা ১৮ দিন বিকেএসপিতে ৩৬টি প্রস্তুতি সেশনে অংশ নিয়েছি। সেখানে ছেলেদের প্রস্তুতি থেকে আমি দেখেছি কার কোথায় সমস্যা আছে। তা সঠিকভাবে নিরূপণ করে সে অনুযায়ী কাজও করেছি। ফলে সবার প্রস্তুতিই বেশ ভাল হয়েছে বলেই আশা করা যায়। আর প্রস্তুতিতে আমি যে বিষয়টিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি সেটি হলো, তাদের শারীরিক ও মানসিক উন্নতি। আশার কথা হলো, মাঠের প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির পাশাপাশি তাদের এই দু’বিভাগের প্রস্তুতিটাও বেশ ভাল হয়েছে।’ ১৭ ডিসেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘ওই ম্যাচে আমি দেখেছি, যে কার কী ভুল আছে। গেল দুদিন তাদের সেই ভুলগুলো নিয়ে কাজ করেছি আর আমি নিশ্চিত যে, সাফে সেই ভুলগুলোর পুরাবৃত্তি ঘটবে না।’
সাফের গ্রুপপর্বের খেলায় ‘বি’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ভুটান। ২৪ ডিসেম্বর মামুনুলদের প্রথম ম্যাচ গেলবারের চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এই ম্যাচটি জিততে পারলেই সেমিফাইনালের পথ অনেকটাই প্রশস্ত হবে। তাই জয়টি শুরু দিয়েই করতে চাইছেন কোচ মারুফুল হক, ‘ফার্স্ট ম্যাচ উইন দ্যাট মিনস চ্যাম্পিয়নশিপ ইজ হাফ ডান। আফগানরা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। তারা শক্তিশালী দল। তবে, তাদের বিপক্ষে জয় দিয়েই শুরুটা ভাল করতে চাই।’ বাংলাদেশ পরের ম্যাচে ২৬ ডিসেম্বর মালদ্বীপকে পাচ্ছে। ২৮ ডিসেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানের মুখামুখি হবে বাংলাদেশ।
গত আসরের কথা উল্লেখ করে অধিনায়ক মামুনুল বলেছেন, ‘গত বারে দুটি ম্যাচেই শেষ মুহূর্তে গোল হজম করেছিলাম আমরা। দলে বেশকজন ইনজুরিতে আক্রান্ত ছিল। ফলে সেরা একাদশও ভালোমতো হয়নি। তবে এবার আশা করি তা হবে না। অনুশীলনে আমরা কোচকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য একটাই ভালো খেলে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করা।’
আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভারতের কেরালায় বসছে সাফ ফুটবলের ১১তম আসর। আসন্ন সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দল ঘোষণা করেছে। লাল-সবুজদের অধিনায়ক হিসেবে মামুনুল ইসলামকে রেখে ২০ জনের চূড়ান্ত দল জানিয়ে দেয় বাফুফে। চোটের কারণে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন দেশসেরা স্ট্রাইকার এমিলি। বাদ পড়েছেন কমল ও কেষ্টও। চূড়ান্ত ২০ জনের স্কোয়াডে এক জামাল ভূঁইয়া ছাড়া সবাই ফিট রয়েছে।