প্রসঙ্গত ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের নামে মামলা করে দুদক। এতে ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি ৪ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়।
আজ আদালতের বিচারকাজের শুরুতেই এ মামলায় ৩২ জন সাক্ষীর দেয়া সাক্ষ্যের সারসংক্ষেপ পড়ে শোনান। এরপর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি আদালতকে বলেন, তিনি লিখিত কোনো বক্তব্য দেবেন না। নিজেই আদালতে বক্তব্য দেবেন। এর প্রত্যুত্তরে আদালত বলেছেন, খালেদা জিয়া যত ঘণ্টা বক্তব্য দিতে চান, দিতে পারবেন। সব বক্তব্য লিখে নেয়া হবে।
খালেদা জিয়া আদালতকে বলেন, সারা জাতি আজ লাঞ্ছিত, নির্যাতিত। সমগ্র বাংলাদেশকে আজ এক বিশাল কারাগার বানানো হয়েছে। সব খানে চলছে অস্থিরতা ও গভীর অনিরাপত্তাবোধ। মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বিরোধী দলের হাজার হাজার কর্মী এখন কারাগারে বন্দী। খালেদা জিয়া বলেন, তাঁর দলের চার লাখের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ২৫ হাজারের মতো মামলা দেওয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীরা নির্যাতন ও হয়রানির ভয়ে ঘরে থাকতে পারছেন না।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা যায়, জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে সুবিচার চেয়েছেন খালেদা জিয়া। ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সাফাই সাক্ষী হাজির করতে চান বলেও উল্লেখ করেনে তিনি।
আজ আদালতে বেগম খালেদা প্রায় ১৫ মিনিট তার যুক্তি বিচারকের সামনে তুলে ধরে বলেন, ওইসব সাক্ষ্েয যে বক্তব্য এসেছে তা সঠিক নয়। এদিন শুনানিতে একটি লিখিত বক্তব্যও নিয়ে এসেছিলেন তিনি তবে তা আদালতে জমা দেননি। দিনের শুনানি শেষে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ৮ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন। ওইদিন খালেদা জিয়া তার আত্মপক্ষ সমর্থনে আরও বক্তব্য দেবেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।