অগ্রসর রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গো জাহাজের সামনে পড়ে একটি লঞ্চডুবির ঘটনায় দুই শিশুসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এঘটনায় অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। নিখোঁজদের উদ্ধারে যৌথভাবে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা।
রবিবার দুপুরে চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার মরদেহগুলোর মধ্যে ১০ বছরের এক মেয়ে শিশু, তিন বছরের এক ছেলে শিশু, ১৭ বছরের এক কিশোরী, ২৮ বছরের একজন নারী ও আনুমানিক ৫০ বছরের এক ব্যক্তি রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নদীতে একটি কার্গো জাহাজের সামনে পড়ে মুন্সীগঞ্জগামী যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ডুবে যায়। লঞ্চটিতে আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।
পরে ১৫ থেকে ২০ জনের মতো যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে সাঁতরে তীরে উঠে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রী জানান, দুপুর ১ টা ৫৮ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে মাঝারি আকারের লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
লঞ্চডুবির ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বড় কার্গো জাহাজ সোজা নদী বরাবর চলছে। তার সামনে একটি ছোট লঞ্চ আটকে আছে। ধীরে ধীরে তা কাঁৎ হয়ে ডুবে যায়। এসময় লঞ্চের ওপরে থাকা মানুষজন প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন।
দুর্ঘটনার জন্য দোষ কার, লঞ্চ নাকি কার্গোর তা ভিডিও দেখে বুঝা যায়নি। যদিও বিআইডব্লিউটিএ বলছে কার্গোর মাস্টারের অসর্তকতায় এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার জানান, দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের নাম এম এল আফসার উদ্দিন। আর কার্গো জাহাজটির নাম- এমভি রুপসি-৯।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য বলেন, একটি জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে গেছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন ঢাকাটাইমসকে বলেন, লঞ্চ ডুবির ঘটনা শুনেই ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। আরেফীন বলেন, আনুমানিক ৫০ জন জাহাজে ছিল।