শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসার পথে রাসেল খান আকাশে এই স্বর্ণ পায়ুপথে প্রবেশ করায়। বিমানে উঠার পর ১১-বি নম্বর সিট থেকে সে স্বর্ণগুলো সংগ্রহ করে। দুবাই থেকে আগত কোনো যাত্রী এসব স্বর্ণ সিটে রেখে যায় বলে জানিয়েছে রাসেল।
ড. মইনুল জানান, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী তাকে শনাক্ত করে বিমানবন্দর কাস্টমস হলে আনা হয়। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসার পর সে স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করে। যাত্রীকে আর্চওয়ে দিয়ে হাটিয়ে স্বর্ণ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় শুল্ক গোয়েন্দারা। এছাড়া মেটাল ডিটেক্টরেও পেটে স্বর্ণের সিগনাল পাওয়া যায়।
পরে টয়লেটে গিয়ে সে ১২টি স্বর্ণের বার বের করে আনে। এসব বার দুটি করে মোট ছয়টি ছোটপোটলায় পায়ুপথে লুকানো ছিল। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মোট ওজন ১ কেজি ৩৯০ গ্রাম, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬৫ লাখ টাকা।